মিপুর টেস্টে মাত্র এক পেসার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের একাদশ দেখেই বুঝা গিয়েছিল স্পিন সহায়ক হবে মিপুরের উইকেট। তবে প্রথম দিনে সুবিধা পেয়েছেন পেসাররাও। বিশেষ করে প্রোটিয়া পেসাররা নতুন বলের সুবিধা দারুণ ভাবে কাজে লাগিয়েছেন।
মিপুর টেস্টে মাত্র এক পেসার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের একাদশ দেখেই বুঝা গিয়েছিল স্পিন সহায়ক হবে মিপুরের উইকেট। তবে প্রথম দিনে সুবিধা পেয়েছেন পেসাররাও। বিশেষ করে প্রোটিয়া পেসাররা নতুন বলের সুবিধা দারুণ ভাবে কাজে লাগিয়েছেন।
প্রথম দিনের খেলা শেষে মিরপুরের উইকেট নিয়ে অবাক হওয়ার কথা জানিয়েছেন পেসার কাগিসো রাবাদা। সংবাদ সম্মেলনে রাবাদা বলেন, ‘হ্যাঁ আমরা অনেক অবাক হয়েছি উইকেটের আচরণ দেখে। আমরা ভেবেছিলাম টার্নিং উইকেট হবে। তবে নতুন বলে এখানে মুভমেন্ট হয়েছে। খুব বেশি সুইং হয়নি আসলে তবে সিম মুভমেন্ট ছিল। আসলে সত্যি কথা বলতে গেলে নেটেও এরকম উইকেট ছিল। ‘
‘সাধারণত আপনি নেটে যা পাবেন ম্যাচের পিচে গিয়েও কাছাকাছি রকমের কিছু পাবেন। স্পিনারদের জন্য টার্ন হচ্ছে সিমারদের জন্য সিমও হচ্ছে। আমাদের এর ফলে বেশ অবাক লেগেছে। তবে আমরা তো আর পিচ বানাই না। এমন পিচই তৈরি করা হয়েছে এবং এরকমই ছিল পিচ।’-যোগ করেন তিনি।
টেস্ট ক্রিকেটে ভারসাম্যপূর্ণ উইকেটের আশা রাবাদার, ‘আমার কাছে মনে হয় টেস্ট ক্রিকেটে ভারসাম্য বজায় রাখাটা বেশ জরুরি। আপনি চাইবেন ব্যাট এবং বলের মাঝে লড়াইটা ঠিকঠাকভাবে চলুক। সেরকমই উইকেটই পেতে চাইবেন আপনি। এখানে হয়ত আপনারা বলতে পারেন যে বোলিং ইউনিট ভালো বল করেনি বা ব্যাটিং ইউনিট ভালো ব্যাট করেনি এবং এখানে এই ভারসাম্যটাই আনতে চাইবেন আপনি।’
‘তবে এক দিনে ১৬ উইকেট পড়ে যাওয়া, আমার কাছে মনে হয় এটা বোলারদেরই বেশি সাহায্য করছে। টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাট এবং বলের মাঝে সঠিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দরকার। যেখানে বোলাররা ভালো করতে পারবে যদি তারা ভালো বল করে, সেই সাথে ব্যাটাররাও রান পাবে যদি তারা নিজেদের উজাড় করে দিতে পারে।’-যোগ করেন তিনি।
এসএইচ/এইচজেএস