মার্কিন প্রতিনিধিদলের ঢাকা সফরে আলোচনা হবে বহুমাত্রিক  

মার্কিন প্রতিনিধিদলের ঢাকা সফরে আলোচনা হবে বহুমাত্রিক  

আগামী সপ্তাহের শুরুতে ঢাকা সফরে আসছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের আলোচনা বহুমাত্রিক হবে। এটি মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা।

আগামী সপ্তাহের শুরুতে ঢাকা সফরে আসছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের আলোচনা বহুমাত্রিক হবে। এটি মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নিজ দপ্তরে পররাষ্ট্র-সচিব মো. জসীম উদ্দিন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান।

পররাষ্ট্র-সচিব বলেন, আলোচনাটা শুরুর আগে আমি এমন কোনো ধরনের মন্তব্য করতে চাই না, যাতে করে আলোচনার স্বাভাবিকতা ক্ষুণ্ন করে। আমি শুধু এটা বলতে পারি, অন্তর্বর্তী সরকার আসার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম দলের আসার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে তারা যে, সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় তার একটা বড় প্রতিফলন এবং প্রতিনিধিদলে কারা থাকছেন আপনারা জেনেছেন। এটা থেকে বোঝা যায়, এই আলোচনাটা বহুমাত্রিক হবে, এটা শুধুমাত্র একটি বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। তার সঙ্গে সংগতি রেখে আমাদের দিক থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, আগামী শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের আন্তর্জাতিক অর্থায়নবিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি ঢাকায় আসবে। প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ, পররাষ্ট্র দপ্তর, বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তর এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার প্রতিনিধিরা থাকছেন। তাদের মধ্যে আছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জ্যেষ্ঠ পরিচালক লিন্ডসে ফোর্ড, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

ঢাকার আলোচ্যসূচিতে কী গুরত্ব পাবে, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র-সচিব জানান, আমাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলব এবং তার মধ্যে বহুমাত্রিকতা হবে। কিন্তু আমি আলোচনার আগে বা প্রতিনিধিদল বসার আগে কোনো ধরনের সুনির্দিষ্ট এজেন্ডার বিষয় প্রকাশ করে আলোচনাকে প্রভাবিত করতে চাই না।

প্রতিনিধিদলে ডোনাল্ড লু রয়েছেন। তাকে ঘিরে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কতটুকু এনগেজ হব এবং তার প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে জসীম উদ্দিন বলেন, সরকার চায় যে, সবার সঙ্গে সম্পর্কে পারস্পরিকভাবে লাভজনক অবস্থায় যেতে। বাংলাদেশের মানুষের ঐতিহাসিকভাবে আন্তর্জাতিক বিষয়ে আগ্রহ আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাশাপাশি অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। এছাড়া পররাষ্ট্র-সচিবের সঙ্গে ডিনার কাম বৈঠক করবেন।

এনআই/এসকেডি

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *