নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার রায়ের তারিখ পেছানো হয়েছে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) মামলার রায় ঘোষণার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে আগামী ২৪ অক্টোবর রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার রায়ের তারিখ পেছানো হয়েছে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) মামলার রায় ঘোষণার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে আগামী ২৪ অক্টোবর রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই মামলার বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম ছুটিতে থাকায় মামলাটির রায় ঘোষণার দিনে পেছানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ৩ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন। এই মামলায় ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, মামলার ধার্য তারিখ অনুযায়ী মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলার রায় হওয়ার কথা রয়েছে। আশা করি তিনি এই মামলায় বেকসুর খালাস পাবেন।
তিনি আরও বলেন, গত ৩ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। আমরা সেদিন আদালতকে বলেছিলাম এই পুরো বিষয়টি যোগসাজশ করে সংগঠিত করা হয়েছে। যিনি মামলার বাদী তিনি শারীরিক পরীক্ষা দিতে রাজি হননি। কারণ তিনি স্বীকার করেছেন মামুনুল হক তার বৈধ স্বামী। একই সঙ্গে বাদীর ছেলে আব্দুর রহমান সাক্ষী দিতে এসে বলে গিয়েছিলেন তার মা মামুনুল হকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাদের ওপর বলপ্রয়োগ করে মামলা করানো হয়েছিল।
আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. রোমেল মোল্লা বলেন, মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে যুক্তিতর্কও শেষ হয়েছে।
এর আগে ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রাখে। এরপর ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামুনুল হককে। পরে এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।
এদিকে চলতি বছরের ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে জামিন আবেদন করলে তৎকালীন বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর থেকে তিনি সোনারগাঁ থানার এই মামলায় জামিনে রয়েছেন।
আরএআর