নরসিংদীতে মামা মো. হাবিবুল্লাহকে পিটিয়ে হত্যার ৪৪ দিনের মাথায় অভিযুক্ত ভাগনে হানিফ মিয়াকে (২৬) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকেলে নরসিংদী পৌর শহরের কাউরিয়াপাড়া ঈদগাহ মাঠের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হানিফ পৌর শহরের চৌয়ালা এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে।
নরসিংদীতে মামা মো. হাবিবুল্লাহকে পিটিয়ে হত্যার ৪৪ দিনের মাথায় অভিযুক্ত ভাগনে হানিফ মিয়াকে (২৬) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকেলে নরসিংদী পৌর শহরের কাউরিয়াপাড়া ঈদগাহ মাঠের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হানিফ পৌর শহরের চৌয়ালা এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গত ১৯ আগস্ট নরসিংদী শহরের চৌয়ালা এলাকার বাসিন্দা হাবিবুল্লাহকে তার ভাগিনা হানিফ মিয়া পিটিয়ে হত্যা করেছিলেন। এ ঘটনার ৪৪ দিন না যেতেই মঙ্গলবার বিকেলে কাউরিয়াপাড়া পৌর ঈদগাহ মাঠের পাশে ভাগনে হানিফ মিয়া হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। বিকেলের দিকে হানিফ কাউরিয়াপাড়ার ঈদগাঁ মাঠে এক প্রতিবেশীর জানাজা পড়েন। জানাজা শেষে ঈদগাঁ গেটের সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা তারই মামাতো ভাই নাঈম ও নাদিম প্রকাশ্যে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ধারাল ছুরি দিয়ে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় তারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠায়।
অভিযোগ উঠেছে, মামাকে হত্যার প্রতিশোধে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে ‘হত্যার বদলে হত্যা’। অর্থাৎ হাবিবুল্লাহর ছেলে নাদিম-নাঈম ধারালো অস্ত্র দিয়ে জনসম্মুখে হানিফকে জবাই করে হত্যা করেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, হাবিবুল্লাহ এবং হানিফ মিয়া পরস্পর মামা-ভাগনে সম্পর্ক। তাদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করেই প্রথমে ভাগনে মামাকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে মঙ্গলবার দুপুরে ছেলেরা বাবা হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে হানিফ মিয়াকে জবাই করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতের খালাতো ভাই হৃদয় বলেন, জানাজা শেষে অটোতে ওঠার সময় হানিফের মামাতো ভাইয়েরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এর আগে দুই পরিবারের বিরোধে মামা হাবিবুল্লাহ মারা গিয়েছিলেন। এই মামলায় বর্তমানে হানিফের ছোট ভাই জেলে রয়েছে। আজকে হানিফকে মেরে ফেলা হলো।
নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এখনো থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তন্ময় সাহা/আরএআর