মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক শিক্ষার্থী শামীম মোল্লার মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে তদন্ত সাপেক্ষে নতুন মামলা দায়ের করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক শিক্ষার্থী শামীম মোল্লার মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে তদন্ত সাপেক্ষে নতুন মামলা দায়ের করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পাদদেশে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। পরে একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের কাছে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের মাত্রা-অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিত করা; শামীম মোল্লাকে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তরের পরবর্তীতে নিরাপত্তা অফিসের তালা ভেঙে কয়েকদফা মারধর এবং পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ঘটনার গভীর তদন্ত নিশ্চিত করা; বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তাকর্মী সুদীপ্ত শাহীনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিরাপত্তাকর্মীদের বহিষ্কার করা; জুলাই-আগস্ট মাসে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম নির্যাতনের দ্রুত বিচার করা এবং ওই ঘটনায় জড়িত শিক্ষক, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম বলেন, শামীম মোল্লাকে কয়েক দফায় গণপিটুনি দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রথম দফায় প্রান্তিক গেটে গণপিটুনি দিয়ে একদল তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করে। পরে কয়েকজন শিক্ষার্থী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রক্টর অফিসের নিরাপত্তা সেলের কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে তাকে কয়েক দফা বেধড়ক মারধর করে। তাহলে কিভাবে সবার শাস্তি একই হয়। আমরা চাই, অতিদ্রুত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে মাত্রা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হোক।

ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিয়া রহমান অন্বেষা বলেন, শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের প্রাপ্য শাস্তিটুকু যেন নিশ্চিত করা হয়। এখানে লঘু দণ্ডে গুরু শাস্তি কেউ পাক, সেটা আমরা চাই না। শামীম মোল্লাকে প্রক্টর অফিসে যখন মারা হয় তখন প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তার নিরাপত্তা কেন নিশ্চিত করতে পারেনি সেই প্রশ্ন আমাদের প্রশাসনের কাছে থেকে যায়। সুদীপ্ত শাহীন নিজে একজন হত্যা মামলার আসামি হয়ে কিভাবে হত্যা মামলা করে এবং স্বপদে বহাল থাকে এটিও প্রশাসনের কাছে আমাদের প্রশ্ন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবিগুলো প্রশাসনিক সভায় আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মেহেরব হোসেন/আরকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *