মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় জমিজমার বিরোধের জেরে রফিকুল ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ওই যুবক সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় তার বাবা সামসুল হক প্রামাণিক বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় জমিজমার বিরোধের জেরে রফিকুল ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ওই যুবক সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় তার বাবা সামসুল হক প্রামাণিক বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কাটিগ্রাম এলাকার মহিউদ্দিন মোল্লার ছেলে বিল্টু (৪৫), আবুল হোসেনের ছেলে জাহিদ (২০), জামান শাহ ওরফে শুকুরের ছেলে শরীফ (৪৫) ও লাভুল (৫০), বিল্টুর স্ত্রী লাভলী আক্তার (৪০), মহিউদ্দিন মোল্লার ছেলে আবুল হোসেন (৫৫) এবং আবুল হোসেনের স্ত্রী আঁখি আক্তার (৪৫)।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে অভিযুক্ত আসামিরা বাদী মো. সামসুল প্রামানিকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। পরে ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্তরা তার গতিরোধ করে। এরপর তাকে রাস্তা থেকে টেনেহিঁচড়ে অন্যত্র তুলে নিয়ে এলাপাথাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে আসামিরা চলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তার পরিবারের সদস্যরা খরব পেয়ে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক রফিককে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। সেখান থেকে তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী যুবকের বোন ঝর্ণা আক্তার জানান, আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে এবং একটি পা ভেঙে দেয়।আমার ভাই এখানে আইসিওতে ভর্তি। আমার বাবা থানায় মামলাও করেছে। কিন্তু পুলিশ এখনো একজন আসামিকেও ধরতে পারেরি। অথচ আসামিরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
মামলার বাদী সামসুল হক প্রামাণিক মোবাইল ফোনে বলেন, আসামিরা সন্ত্রাসী, এলাকায় চাঁদাবাজি করে। ওরা আমার পোলারে কীভাবে মারছে। এক মিনিট পরে গেলেই আমার পোলার লাশ পাইতাম। আমি এখানে একা, এলাকায় আমার কেউ নাই। আমার ফলের দোকান ভাঙচুর করছে। মামলা করছি, আজকে পুলিশ স্যারেরা আসছিল, দোকানে ছবি তুলে নিয়া গেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল্লাহ ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামিরা এলাকা থেকে অন্যত্র আত্মগোপনে রয়েছে। তবে মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের আমরা কাজ করছি।
সোহেল হোসেন/জেডএস