মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে সদর উপজেলায় নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে সদর উপজেলায় নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত দুই নেতা হলেন—সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম (৪৮) ও সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হৃদয় (২৭)।
এজাহার এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই সকালে আসামিরা পিস্তল, শর্টগান, এ কে ৪৭ এবং রামদা, চাপাতি, চৌশিরা কাঠের বাটামসহ বিভিন্ন দেশীয় মারাত্মক প্রাণনাশক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা করার উদ্দেশ্যে মানিকগঞ্জ খালপাড় মোড়ে জড়ো হতে থাকেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের খালপাড় মোড় এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের একত্রিত হয়ে বিএনপির কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন বাদী আজাদ হোসেন। দলের নেতাকর্মীদের একটু আগে তিনি বের হলে পথে খালপাড় মোড় এলাকায় আসামি কাজী এনায়েত হোসেনের নির্দেশে আসামি সিফাত কোরাইশী, জুয়েল ও ইমন বাদীর গতিরোধ করেন। এ সময় আসামি সিফাত কোরাইশী তার হাতে থাকা শর্টগান দিয়ে জেলা বিএনপির সহসভাপতি আজাদ হোসেন খানকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করেন। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে অপর আসামির হাতে থাকা কাঠের বাটাম নিয়ে সিফাত কোরাইশী বাদীকে এলোপাতাড়ি পেটান।
এ ঘটনায় গত ৮ সেপ্টেম্বর আজাদ হোসেন খান বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের ২০ জন নেতাকর্মীর নামসহ অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন।
মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান, কাজী এনায়েত হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কোরাইশী ওরফে সুমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক খান, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক ওরফে রাজা, পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম, যুবলীগের কর্মী ইরাদ কোরাইশী ওরফে ইমন, জুয়েল ভুঁইয়া ও মো. সানি এবং পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি অভিজিৎ সরকার।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, সোমবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার পাথরাইল গ্রাম থেকে আসামি কাশেম এবং জয়রা গ্রাম থেকে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। আজকে (মঙ্গলবার) আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সোহেল হোসেন/এএমকে