মানিকগঞ্জে নৌ-পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রফিকুল ইসলাম চঞ্চল (২১) নামের এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আন্দোলনকারীরা উত্তেজিত হয়ে শিবালয় থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
মানিকগঞ্জে নৌ-পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রফিকুল ইসলাম চঞ্চল (২১) নামের এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আন্দোলনকারীরা উত্তেজিত হয়ে শিবালয় থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
সোমবার (৫ আগস্ট) নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের হাসপাতালের টিএইচএফপিও ফজলে বারি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত রফিকুল ইসলাম চঞ্চল শিবালয় উপজেলার রুপসা গ্রামের রহিজ উদ্দিনের ছেলে। রফিকুল মানিকগঞ্জের বরংঙ্গাল কলেজের শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরে পাটুরিয়া ঘাটে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নৌ-পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় আন্দোলনকারী তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে আন্দোলনকারীরা তাদেরকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জেলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুলকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ সাকিব হোসেনের (২৪) অবস্থা সংকটাপন্ন।
এদিকে ক্ষুব্ধ কয়েক হাজার আন্দোলনকারীরা উথলী হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ নিয়ে শিবালয় থানার ঘেরাও করে। উত্তেজিত আন্দোলনকারীরা পাটুরিয়া ঘাটের পুলিশ বক্স, বিআইডব্লিউটিসির কাউন্টার, নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি, শিবালয় থানাসহ আওয়ামী লীগের বেশ কিছু অফিস ভাঙচুরসহ আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় শিবালয় উপজেলা থমথমে অবস্থায় রয়েছে।
এই বিষয়ে জানার জন্য শিবালয় থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) বেশ কয়েকবার ফোন করলেও রিসিভ করেননি।
সোহেল হোসেন/এমজেইউ