মাধ্যমিকে বার্ষিক পরীক্ষায় ফিরল গ্রেডিং পদ্ধতি

মাধ্যমিকে বার্ষিক পরীক্ষায় ফিরল গ্রেডিং পদ্ধতি

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর শিক্ষা সিলেবাসে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে শুরু করেছে সরকার। নতুন পদ্ধতিতে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বসতে হবে তিন ঘণ্টার বার্ষিক পরীক্ষায়। যার ৭০ শতাংশের মূল্যায়ন হবে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে। বাকি ৩০ শতাংশের মূল্যায়ন হবে বিদ্যালয়ে শিখনকালীন। এই পরীক্ষার ফল আগের মতো গ্রেডিং পদ্ধতিতেই প্রকাশ করা হবে।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর শিক্ষা সিলেবাসে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে শুরু করেছে সরকার। নতুন পদ্ধতিতে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বসতে হবে তিন ঘণ্টার বার্ষিক পরীক্ষায়। যার ৭০ শতাংশের মূল্যায়ন হবে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে। বাকি ৩০ শতাংশের মূল্যায়ন হবে বিদ্যালয়ে শিখনকালীন। এই পরীক্ষার ফল আগের মতো গ্রেডিং পদ্ধতিতেই প্রকাশ করা হবে।

বুধবার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) জারি করা ২০২৪ সালের শিখনকালীন মূল্যায়ন ও বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশিকা থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

একইসঙ্গে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ের সিলেবাস ও প্রশ্নকাঠামো বা নমুনা প্রশ্ন প্রকাশ করা হয়েছে।

বার্ষিক ও শিখনকালীন মূল্যায়ন যেভাবে

প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়ন কার্যক্রমের মোট নম্বর হবে ১০০। এর মধ্যে ৭০ শতাংশের মূল্যায়ন হবে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে। বাকি ৩০ শতাংশের মূল্যায়ন হবে বিদ্যালয়ে শিখনকালীন। বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক জিপিএ বা গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী। লিখিত পরীক্ষার মোট সময় হবে ৩ ঘণ্টা। লিখিত পরীক্ষার উত্তর লেখার জন্য আগের বিদ্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় খাতা সরবরাহ করবে।

ফলাফলে ফিরছে গ্রেডিং পদ্ধতি

মূল্যায়নে আগের মতো ৮০ থেকে ১০০ নম্বর পেলে A+ বা ৫ পয়েন্ট, ৭০ থেকে ৭৯ নম্বর পেলে A বা ৪ পয়েন্ট, ৬০ থেকে ৬৯ নম্বর পেলে A- বা ৩ দশমিক ৫ পয়েন্ট, ৫০ থেকে ৫৯ পেলে B বা ৩ পয়েন্ট, ৪০ থেকে ৪৯ পেলে C বা ২ পয়েন্ট, ৩৩ থেকে ৩৯ পেলে D বা ১ পয়েন্ট ও ০০ থেকে ৩২ পেলে F বা ০ পয়েন্ট পাবেন শিক্ষার্থীরা।

একটি বিষয়ে সর্বনিম্ন D গ্রেড পেলে ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ বলে বিবেচনা করা হবে। ৩ বা ততোধিক বিষয়ে কোনো শিক্ষার্থী D গ্রেড পেলে সে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে পারবে না। তবে বিষয় শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠান প্রধান বিশেষ বিবেচনায় তাকে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তরণের সুযোগ দিতে পারেন। বিশেষ বিবেচনার বিষয়টি শুধু ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য হবে।

এনএম/এমএসএ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *