মসজিদে বন্যার পানি, জামায়াতে নামাজ পড়তে পারছেন না লক্ষ্মীপুরবাসী 

মসজিদে বন্যার পানি, জামায়াতে নামাজ পড়তে পারছেন না লক্ষ্মীপুরবাসী 

লক্ষ্মীপুরে টানা বর্ষণসহ বন্যার পানিতে ডুবে যায় রাস্তাঘাট-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিস্তীর্ণ জনপদ। শতাধিক টিনসেড ও পাকা মসজিদও  বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। মসজিদগুলোতে নিয়মিত আজান হলেও পানির কারণে প্রায় ১৫ দিন ধরে জামায়াতে নামাজ পড়া সম্ভব হয়নি। এখনো বেশ কিছু মসজিদে পানি রয়েছে।

লক্ষ্মীপুরে টানা বর্ষণসহ বন্যার পানিতে ডুবে যায় রাস্তাঘাট-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিস্তীর্ণ জনপদ। শতাধিক টিনসেড ও পাকা মসজিদও  বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। মসজিদগুলোতে নিয়মিত আজান হলেও পানির কারণে প্রায় ১৫ দিন ধরে জামায়াতে নামাজ পড়া সম্ভব হয়নি। এখনো বেশ কিছু মসজিদে পানি রয়েছে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বন্যাকবলিত সদর উপজেলার পশ্চিম দিঘলী, পূর্ব দিঘলী ও দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা মসজিদে নামাজ পড়া নিয়ে দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।

দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের হাজী আকবর জামে মসজিদের ভেতর প্রায় হাঁটু পরিমাণ বন্যার পানি ছিল। ১৫ দিন ধরে নিয়মিত আজান হলেও পানির কারণে নামাজ পড়া যায়নি। এ মসজিদে দুই জুমার নামাজ পড়তে পারিনি। পানি কমায় গত জুমার নামাজ বাইরে বাঁধ দিয়ে পড়েছি। এখনো মসজিদের বারান্দা পানিতে ডুবে আছে।

চরশাহীর নুরুল্লাহপুর গ্রামের বাসিন্দা হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা দুইটা ইউনিয়নের বর্ডার এলাকার বাসিন্দা। আমাদের বাড়ির চারপাশে পানি থৈ থৈ করছে। আমাদের সমাজের মসজিদটির (হাজী আকবর জামে মসজিদ) ভেতরে এক হাঁটু পানি ছিল। এতে ১৫ দিনে আমাদের মসজিদটিতে নামাজ পড়া সম্ভব হয়নি। 

পশ্চিম দিঘলী গ্রামের মনির আহমেদ বলেন, আমি ওবায়দুল্লাহ জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছি। মসজিদটি উঁচু স্থানেই আছে। তবে মসজিদের সামনে হাঁটুর ওপরে পানি ছিল। দরজার সামনে ইট দিয়ে গাঁথনি করায় মসজিদে পানি ঢুকতে পারেনি। তবে এতো পানি আর কখনো দেখিনি।

মধ্যম দিঘলী আল মদিনা জামে মসজিদের পাঞ্জেগানা ঈমাম মাওলানা নুর আলম বলেন, মসজিদের নিচতলায় হাঁটু পরিমাণ পানি। দোতলায় নামাজ পড়া যায়। তবে কলার ভেলা ছাড়া যাওয়া যায় না। মুসল্লিও দুই-তিনজনের বেশি হয় না। মানুষের বাড়ির উঠানে এখনো কোমর সমান পানি আছে। অধিকাংশ মানুষই আশ্রয়কেন্দ্রে আছে।

প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট থেকে লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার চরশাহী, চন্দ্রগঞ্জ, দিঘলী, উত্তর জয়পুর, দত্তপাড়া, মান্দারী, বাঙ্গাখাঁসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বন্যা শুরু হয়। বিভিন্ন রাস্তাঘাট থেকে পানি নামলেও বাড়িঘর থেকে এখনো নামেনি। কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও বুকপানি ও কোথাও কোমর পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এছাড়া কমলনগর ও রামগতি উপজেলার ভুলুয়া নদী সংশ্লিষ্ট বিস্তীর্ণ জনপদ প্রায় দেড় মাস ধরে পানিবন্দি। বাড়ির উঠানসহ মাঠ-ঘাট, ফসলি ক্ষেত এখনো পানিতে থৈ থৈ করছে। রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলায় বন্যায় বিপুলসংখ্যক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

হাসান মাহমুদ শাকিল/আরেক

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *