ময়মনসিংহে যৌথ বাহিনীর গ্রেপ্তার অভিযানের সময় সাইদুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। তিনি মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ময়মনসিংহে যৌথ বাহিনীর গ্রেপ্তার অভিযানের সময় সাইদুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। তিনি মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর গোলপুকুর পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইদুল ইসলাম নগরীর গোলপুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা আব্দুস ছালামের ছেলে। সে নগরীর আলোচিত শামসুল হুদা সুমন হত্যায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।
জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পর সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে জমি দখল, বালুরঘাট দখল, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি, অস্ত্র প্রদর্শনসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ ওঠে। এসব ঘটনায় সম্প্রতি যৌথ বাহিনীর কাছে একাধিক অভিযোগ দায়ের হলে সোমবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে সাইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনীর একটি দল। এতে আটক হয় সাইদুল। এ সময় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তাকে মারপিট করলে ঘটনাস্থলেই অসুস্থ হয়ে তার মৃত্যু হয়। পরে রাত দেড়টার দিকে সাইদুল ইসলামকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃতের স্বজনরা বলেন, সাইদুল আগে থেকে অসুস্থ ছিল। কিছুদিন আগে তিনি ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে এসেছিলেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত কর্মচারীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত রাত ১টার দিকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ছয়জনকে আহত অবস্থায় ভর্তি করেন। পরে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নিয়ে যান তারা।
প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ারা হলেন—ময়মনসিংহ নগরীর গোলপুকুর পাড় এলাকার মাছুম (২৩), নান্দাইলের মারুফ (২০), নগরীর চরকালীবাড়ী এলাকার হিমেল (২২), একই এলাকার রিয়াজ (২০), নেত্রকোণা পূর্বধলা উপজেলার সালদীঘা এলাকার মামুন এবং মুক্তাগাছা সৈয়দপুর গ্রামের রাসেল (৩০)।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, সাইদুল ইসলাম নিহতের বিষয়ে পুলিশের কোনো বক্তব্য নেই। এ বিষয়ে সেনাবাহিনী বলতে পারবে। দুপুরে মৃতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মো. আমান উল্লাহ আকন্দ/এএমকে