ভোলায় পুলিশ ও নৌ-বাহিনীর সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

ভোলায় পুলিশ ও নৌ-বাহিনীর সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

ভোলায় নৌবাহিনীর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার আব্দুল আল মামুন বলেছেন,  জনসাধারণের জানমাল ও সরকারি স্থাপনা রক্ষায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় ভোলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থায় রয়েছে নৌবাহিনী।

আজ (মঙ্গলবার) সকালে ভোলা সদর মডেল থানাসহ বিভিন্ন থানার পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে  সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন নৌবাহিনী কমান্ডার।

সভায় তিনি আরও বলেন, ভোলা জেলার সকল থানার কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে ফিরিয়ে আনতে নৌবাহিনী কাজ করছে। যার কারণে গতকাল সোমবার থেকে ভোলা জেলার ১০টি থানা ও ১০টি পুলিশ ফাঁড়ির ও ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে। পুলিশ সততা ও নিষ্ঠার সাথে তাদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সভায় ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামান জানান, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের পরিবর্তিত পেক্ষাপটে পুলিশের যে স্বাভাবিক কার্যক্রম তার কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে। ভোলা জেলার ১০টি থানা ও ১০টি পুলিশ ফাঁড়ির ফাংশলান কার্যক্রম এক মিনিটের জন্যেও বন্ধ হয়নি। তবে ট্রাফিক,তদন্ত ও অপারেশনের মতো নিয়মিত কাজগুলো আমরা করতে পারিনি।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ভোলা জেলা পুলিশের কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভোলায় বিপুল সংখ্যক নৌবাহিনী সদস্য মোতায়েন করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে আমরা মনোবল ফিরে পাই এবং গতকাল থেকে আমরা আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছি।

এর আগে সকাল থেকেই ভোলা নৌবাহিনীর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার আব্দুল আল মামুনের নেতৃত্বে নৌ বাহিনীর সদস্যরা ভোলা সদর মডেল থানা, দৌলতখানসহ বিভিন্ন থানা পরিদর্শন করেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন— ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও অপস) মো. আসাদুজ্জামান, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন চন্দ্র সরকার, ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান পাটোয়ারী প্রমুখ। 

এদিন সকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভোলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পুলিশের কর্মবিরতিতে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করা ৬০ জন শিক্ষার্থীর হাতে সম্মাননা সনদ প্রদান করেন ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামান। 

জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে সনদ পাওয়া শিক্ষার্থী সুমনা বলেন, দেশটা আমাদের সকলের। সব সময় দেশের যেকোনো দায়িত্ব আমরা স্বেচ্ছায় হাসিমুখে নিজেদের কাঁধে তুলে নিতে প্রস্তত। আজ সার্টিফিকেট পাওয়ার কারণে ভবিষ্যতে আমাদের স্বেচ্ছাসেবী কাজকে আরও অনুপ্রাণিত করবে। 

ভোলা জেলা ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টি আই) আব্দুল গনি বলেন, ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতিতে সড়কে শিক্ষার্থীরাসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা যেভাবে কাজ করেছেন তা প্রশংসনীয়। 

আমরা তাদের কাজের স্বীকৃতিসস্বরুপ বিভিন্ন সংগঠনের ৬০ জন সদস্যকে সনদ দিয়েছি। 

এনএফ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *