জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ভোলার নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা।
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ভোলার নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোলা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ মতবিনিময় সভা করেন তারা।
সভার শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সুজনের বাবা সিরাজুল ইসলাম, মো. আরিফের বড় বোন, লিজা আক্তারের ভাইসহ নিহতদের পরিবারের স্বজনরা তাদের বক্তব্যে স্বজনদের স্মৃতিচারণ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। একই সঙ্গে তাদের স্বজনদের নির্মমভাবে হত্যার বিচারের দাবিও করেন তারা।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক রাসেল মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, জুলাই আগস্টে দেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে গণহত্যা চালিয়েছেন। এ আন্দোলনে ভোলা জেলার ৪৬ জন ভাই-বোন নিহত হয়েছেন। শেখ হাসিনাসহ গণহত্যাকারীদের বিচার এই বাংলার জমিনে করতে হবে। খুনিদের ছাড় দেওয়া হবে না। আন্দোলনে যেসব মানুষ তাদের স্বজন হারিয়েছেন আমরা তাদের ফিরিয়ে দিতে পারব না, তবে আমরা আপনাদের পাশে আছি।
তিনি আরও বলেন, জুলাই আগস্টে আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৪ লাখ টাকা ও যারা আহত হয়েছেন তাদেরকে ১ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার।
এছাড়াও বৈষম্যহীন দেশ গঠনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান ও জানান তিনি।
সভায় ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজল কুমার শীল, ভোলা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইয়ারুল আলম লিটন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নিশাত আহমেদ, রিয়াজ উদ্দিন সাকিব রাখেন।
এছাড়াও সভায় ভোলা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইসরাফিল হোসেন জাবির, মো. রাহিম ইসলাম, কামরুন নাহার এনি সহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
খাইরুল ইসলাম/এমএ