ভিটামিন সি এর ক্ষমতা
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই ক্যালোরি গণনা এবং ওয়ার্কআউটে মনোনিবেশ করি। কিন্তু আপনি কি জানেন যে ওজন কমানোর চেষ্টা করার সময় পুষ্টির শক্তি বিশেষ করে ভিটামিন সি-কে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উপেক্ষা করা হয়? ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার ইমিউন সিস্টেম শক্ত এবং উন্নত করতে পারে। এটি স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন হ্রাস করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার কয়েকটি উপকারিতা এবং এগুলো কীভাবে ওজন কমানোর লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে, চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ভিটামিন সি এর ক্ষমতা
ভিটামিন সি হলো অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, এটি একটি পুষ্টি যা শরীরের বিভিন্ন ফাংশনের জন্য প্রয়োজন। টিস্যুর বৃদ্ধি এবং মেরামত সহ নানা কাজে লাগে এই ভিটামিন। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে, যা কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে? এই অপরিহার্য ভিটামিনটি চর্বিকে শক্তিতে রূপান্তর করতে সাহায্য করে।
কমলা
কমলা মানেই ভিটামিন সি। প্রতিটি কমলায় প্রায় ৭০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে। এটি তৃপ্তির অনুভূতি বজায় রাখে কারণ এই ফল হাইড্রেটিং এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত। আপনার ওজন কমানোর লক্ষ্যে লেগে থাকা সহজ হবে যদি কমলার ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে।
পেয়ারা
গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল পেয়ারা ভিটামিন সি এবং ফাইবারের একটি দুর্দান্ত উৎস। এক কাপ পেয়ারা দৈনিক ভিটামিন সি চাহিদার প্রায় ৬০০% প্রদান করে। উচ্চ ফাইবার সামগ্রীর কারণে পেয়ারা খেলে অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা কম। পেয়ারা ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প কারণ এটি কম গ্লাইসেমিক সূচকের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না।
স্ট্রবেরি
স্ট্রবেরি খেতে কে না ভালোবাসে? এই রঙিন বেরিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে এবং সেইসঙ্গে সুস্বাদুও। দৈনিক প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি এর প্রায় ১৫৯% শুধুমাত্র এক কাপ স্ট্রবেরিতে পাওয়া যাবে। স্ট্রবেরিতে ক্যালোরি কম থাকে এবং প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে, যা ওজন কমানোর জন্য একটি চমৎকার খাবার হিসেবে কাজ করে।
লেবু
লেবু নানাভাবেই খাওয়া যায়। একটি লেবুতে প্রায় ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যেতে পারে। লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড বিপাককে ত্বরান্বিত করতে এবং আরও ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে। লেবু পানি পান করলে তা হজমে সাহায্য করে, পেট ফাঁপা কমায় এবং হাইড্রেশন বাড়াতে কাজ করে। প্রতিদিন লেবু খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
এইচএন