ভারতকে লজ্জায় ডুবিয়ে বড় লিডের পথে নিউজিল্যান্ড

ভারতকে লজ্জায় ডুবিয়ে বড় লিডের পথে নিউজিল্যান্ড

ঘরের মাঠে টেস্টে টানা ১৮ সিরিজ অপরাজিত ভারত। রোহিত শর্মাদের এমন দাপুটে অবস্থানের পরও ঘরের মাঠে টেস্টে সর্বনিম্ন ৪৬ রানে অলআউটের লজ্জায় ডুবিয়েছে নিউজিল্যান্ড। বেঙ্গালুরুর যে পিচে রোহিত-কোহলিরা নাকানিচুবানি খেয়েছেন, সেখানেই পরে কিউই ব্যাটাররা স্বাভাবিক গতিতে রান তুলেছেন। ডেভন কনওয়ের ফিফটিতে ১৩৪ রানের লিডও পেয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। দিন শেষ হওয়ার আগে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৮০ রান।

ঘরের মাঠে টেস্টে টানা ১৮ সিরিজ অপরাজিত ভারত। রোহিত শর্মাদের এমন দাপুটে অবস্থানের পরও ঘরের মাঠে টেস্টে সর্বনিম্ন ৪৬ রানে অলআউটের লজ্জায় ডুবিয়েছে নিউজিল্যান্ড। বেঙ্গালুরুর যে পিচে রোহিত-কোহলিরা নাকানিচুবানি খেয়েছেন, সেখানেই পরে কিউই ব্যাটাররা স্বাভাবিক গতিতে রান তুলেছেন। ডেভন কনওয়ের ফিফটিতে ১৩৪ রানের লিডও পেয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। দিন শেষ হওয়ার আগে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৮০ রান।

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন ভেস্তে যায় বৃষ্টির কারণে। আজ (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় দিন সকালে যেন রাজ্যের অন্ধকার নেমে এসেছিল ভারতের জন্য। তারা কিউই পেসার ম্যাট হেনরি ও উইল ও’রুর্কির পেস আগুনে পুড়েছে। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৩৪ রান তুলতেই নেই ভারতের ৬ উইকেট। তারমাঝে ৪ জন ফিরেছেন শূন্য রানে। পরে তাতে যোগ হয়েছে আরও একজনের নাম। ভারতের জন্য টেস্টে এক ইনিংসে ৫ ডাক মারার ঘটনা এটি ষষ্ঠবার।

এ ছাড়া লাঞ্চের আগেই ৩৪ রানে ৬ উইকেট পতনের ঘটনা ভারতের জন্য ঘরের মাঠে বিগত ৫৫ বছরে সবচেয়ে দ্রুততম। এর আগে ১৯৬৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই হায়দরাবাদ টেস্টে ২৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল তারা। তবে এবার নিউজিল্যান্ডের পেস ইউনিট এমন কিছু করবে তা হয়তো ভেবেও দেখেনি ভারত। হেনরির ৫ আর ও’রুর্কির ৪ শিকারে ভারতের কেবল দুজন দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পেরেছেন। রিষাভ পান্ত সর্বোচ্চ ২০ এবং যশস্বী জয়সওয়াল ১৩ রান করেন। এর বাইরে রোহিত ২ রান এবং কোহলি-রাহুল-সরফরাজ-জাদেজা ও অশ্বিন ফেরেন ডাক মেরে।

প্রতিপক্ষকে অল্পতেই গুটিয়ে দেওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছিল সফরকারী নিউজিল্যান্ডও হয়তো সংগ্রাম করবে ভারতীয় পেসের সামনে। তবে তেমন কিছু হয়নি। ওপেনিং জুটিতেই তাদের ৬৭ রান এনে দেন ডেভন কনওয়ে ও অধিনায়ক টম ল্যাথাম। এর মধ্যে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন কনওয়ে। পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরির পথেও ছিলেন তিনি, কিন্তু তাকে থামতে হয় ৯১ রানে। তবে কিউইদের হয়ে দিনের শেষ উইকেটটি পতনের সময়ই কনওয়ের বিদায় ঘটে।

এর আগে দারুণ সঙ্গ পেয়েও ল্যাথাম ফিরে যান মাত্র ১৫ রানে। কুলদীপ যাদবের অনেকটা সোজা ডেলিভারি ব্যাটের লাইন মিস করে আঘাত করে তার পায়ে। আম্পায়ার প্রথমে আবেদনে সাড়া না দিলেও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে রিভিউ নেন কুলদীপ। সেখান থেকে ভারত প্রথম সাফল্য পায়। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে উইল ইয়ংকে সঙ্গে নিয়ে আরও ৭৫ রান যোগ করেন কনওয়ে। সেই জুটি ভাঙে ইয়ংয়ের বিদায়ে। ৩৩ রানের ইনিংস খেলে ডানহাতি এই ব্যাটার রবীন্দ্র জাদেজার বলে ক্যাচ দিয়ে বসেন।

শেষদিকে সেঞ্চুরির ঘ্রাণ পাচ্ছিলেন কনওয়ে। সেই অবস্থাতেই রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে ভুল করেন এই বাঁ-হাতি ওপেনার। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ডেলিভারি কনওয়ের ব্যাট ফাঁকি দিয়ে স্টাম্প ভেঙে দেয়। ১৫৪ রানে ৩ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ড দিনের বাকিটা সময় নিরাপদে পার করেছে। আলোক স্বল্পতায় আগেভাগেই দিনের খেলা শেষ ঘোষণার আগে রাচিন রবীন্দ্র ২২ এবং ড্যারিল মিচেল ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *