যুক্তরাজ্যে বিদেশি কর্মী এবং শিক্ষার্থীদের ভিসার আবেদনের সংখ্যা গত জুলাইয়ে এক তৃতীয়াংশ কমেছে। অভিবাসন ইস্যুতে আগের সরকারের কঠোর নীতির কারণেই ভিসা আবেদনের সংখ্যা কমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যে বিদেশি কর্মী এবং শিক্ষার্থীদের ভিসার আবেদনের সংখ্যা গত জুলাইয়ে এক তৃতীয়াংশ কমেছে। অভিবাসন ইস্যুতে আগের সরকারের কঠোর নীতির কারণেই ভিসা আবেদনের সংখ্যা কমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের জুলাইয়ে দক্ষ কর্মী হিসেবে, যেমন স্বাস্থ্যসেবা খাতে, পরিবারসহ যুক্তরাজ্যে আগমনে এবং শিক্ষার্থী হিসেবে পড়াশোনার জন্য করা ভিসার আবেদন কমে হয়েছে ৯১ হাজার ৩০০। এই সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ কম। গত বছর এই সংখ্যা ছিল এক লাখ ৪৩ হাজার।
মাসিক হারে ভিসার আবেদনের সংখ্যা সবচেয়ে কমেছে স্বাস্থ্যসেবা খাতে। জুলাইয়ে এই সংখ্যা ৮২ ভাগ কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৯০০। আর ১৫ ভাগ কমে শিক্ষার্থীদের ভিসার আবেদনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৫০০।
যুক্তরাজ্যে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অভিবাসীর আগমন ঘটেছিল ২০২২ সালে। সে বছর মোট ৭ লাখ ৬৪ হাজার অভিবাসী দেশটিতে পাড়ি জমায়। দেশটিতে অভিবাসন বিষয়ে কঠোর নীতি হাতে নেয় পূর্ববর্তী ঋষি সুনাক সরকার। সেসময় শিক্ষার্থী এবং স্বাস্থ্যখাতে পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ক্ষমতাসীন লেবার পার্টিও এই নীতি বলবৎ রাখবে বলে জানা গেছে।
অর্থাৎ আগের সরকারের কঠোর নীতিই মুলত ‘আকাশচুম্বী নিট অভিবাসন কমাতে’ কিয়ার স্টারমারের যে প্রতিশ্রুতি তা রক্ষা করতে সহায়ক হবে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইগ্রেশন অবজারভেটরি বলছে, আগামী পাঁচ বছর দেশটিতে নিট মাইগ্রেশন কমতে থাকবে। ২০৩০ সালে এই সংখ্যা হবে তিন লাখ ৫০ হাজার। কারণ হিসেবে গবেষকরা বলছেন, অনেকে ব্রিটেন ত্যাগ করছেন, বিদেশি শিক্ষার্থীর আগমন কমে আসছে এবং বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান কমছে।
এর ফলে কিছু সমস্যা তৈরি হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন অক্সফোর্ডের গবেষকরা। তারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এরই মাঝে অর্থ সংকট কাটাতে সংগ্রাম করছে। তাছাড়া স্বাস্থ্যখাতে নিয়োগ নিয়ে সংকট তৈরি হতে পারে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, রেকর্ড পরিমাণ নিয়মিত অভিবাসন কমিয়ে আনতে সরকার একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর মূল কারণ হলো আন্তর্জাতিক বাজার থেকে শ্রমিক নিয়োগ। এখান থেকেই সমাধান বের করা হবে। ইনফোমাইগ্রেন্টস।
এসএস