ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি জ্বালিয়ে কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় স্লোগান ও মিছিল করতে বাধা দেয় ছাত্রলীগের কর্মীরা। রোববার (৩ আগস্ট) বিকেল ৩টায় অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে কর্মসূচি পালনকালে এ ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি জ্বালিয়ে কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় স্লোগান ও মিছিল করতে বাধা দেয় ছাত্রলীগের কর্মীরা। রোববার (৩ আগস্ট) বিকেল ৩টায় অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে কর্মসূচি পালনকালে এ ঘটনা ঘটে।
সরজমিনে দেখা যায়, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে বিকেল ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে জড়ো হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। একই সময়ে ঘটনাস্থলে আসে ছাত্রলীগ কর্মীরা। তখন বিক্ষোভ মিছিল ও স্লোগান দিতে বাধা দেয় তারা। তবে স্ব-স্থানে দাঁড়িয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিহতদের প্রতি শোক জ্ঞাপন ও কর্মসূচি পালনের কথা জানালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন শোভন থেমে যান। এসময় শিক্ষার্থীরা মোমবাতি জ্বালিয়ে ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে’, ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে রক্ত লাল রক্ত লাল’, ‘আমার সোনার বাংলা’সহ চারটি গান গেয়ে নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণ করেন।
পরে এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সেখান থেকে চলে যাওয়ার কথা জানায় ছাত্রলীগ। সেখান থেকে আন্দোলনকারীরা যাওয়ার সময় স্লোগান দেওয়ার চেষ্টা করে। তখন আবারও ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের বাধা দেয়। সেখানে কর্মসূচিতে আসা এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় ছাত্রলীগ কর্মীর। এসময় আন্দোলনকারীরা আবারও শহরের ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হলে খবর পেয়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা সেখানে গিয়েও আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
কর্মসূচিতে আসা শাখাওয়াত হোসেন বলেন, শহীদ হওয়া ছাত্রদের খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে যাবে না। আজকে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে এখানে জড়ো হয়েছি। তবে ছাত্রলীগের কর্মীরা বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন শোভন বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে দাবি ছিলো সেটির সঙ্গে আমরা একমত ছিলাম। আর সেই দাবি পূরণ হয়েছে। তবে এখন আমাদের অবস্থান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যেন বিশৃঙ্খলা না হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে পুলিশ কখনো বাধা দেবে না। পুলিশ সতর্ক অবস্থায় ছিল। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
মাজহারুল করিম অভি/এএমকে