চোখের সমস্যার কারণে ব্যাট হাতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন সাকিব আল হাসান। সবশেষ ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টে দেখা গেল বল হাতেও নিলিপ্ত সাকিবকে। দুই ইনিংস মিলিয়ে পাননি কোনো উইকেট। এমনকি প্রথম ইনিংসে বল করেন ৫৩তম ওভারে এসে।
চোখের সমস্যার কারণে ব্যাট হাতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন সাকিব আল হাসান। সবশেষ ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টে দেখা গেল বল হাতেও নিলিপ্ত সাকিবকে। দুই ইনিংস মিলিয়ে পাননি কোনো উইকেট। এমনকি প্রথম ইনিংসে বল করেন ৫৩তম ওভারে এসে।
দুই ইনিংসে ২১ ওভার বল করে ৬.১৯ ইকোনমতিতে ১২৯ রান দিলেও পাননি কোনো উইকেট। ক্যারিয়ারে এত খরুচে সাকিবকে আর কখনো দেখা যায়নি। ন্যূনতম ২০ ওভার বল করে এ নিয়ে ৫ম বারের মতো উইকেটশূন্য ছিলেন সাকিব। সম্প্রতি ক্রিকেট পোর্টাল ইএসপিএনক্রিকইনফোর সঙ্গে এক আলাপে সাকিবের বোলিং নিয়ে কথা বলেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার।
বোলার সাকিবকে নিয়ে সাবেক এই ভারতীয় ব্যাটার বলেছেন, ‘তার জন্য একটা বড় সমস্যা হচ্ছে ভারতীয় দলে অনেক বেশি বাঁহাতি ব্যাটার। শীর্ষ ছয়ে তিনজনই বাঁহাতি। যশস্বী জয়সোয়াল, ঋষভ পন্ত এবং রবীন্দ্র জাদেজা তিনজনই বাঁহাতি এবং তারা ভালো ব্যাটারও। ফলে সে কিছুটা চাপে ছিল। আরেকটা সমস্যা হচ্ছে উইকেট টার্নিং ছিল না। সাকিব এমন বোলার যে টার্নিং উইকেট পেলে ঠিকঠাক বোলিং করে ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলতে পারে।’
সাকিবের পরিকল্পনা নিয়ে মাঞ্জরেকার বলেন, ‘এই ধরনের উইকেট দেখে এবং প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের দেখে হয়তো তার মনে হয়েছে যে তার ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে খেলাটাই বেশি ভালো হবে। কারণ, প্রথম ইনিংসে যে ধরনের ব্যাটিং সে করেছে, মনে হচ্ছিল বেশ উজ্জীবিত হয়ে আছে। বোলিংয়ে তাকে আমার তেমন উজ্জীবিত মনে হয়নি।’
‘পাশাপাশি এটাও বলতে হবে যে (নাজমুল) শান্ত তাকে কম বোলিং করিয়েছে। যখন ঋষভ পন্ত ব্যাট করছিল, শুধু মেহেদী হাসানই এক প্রান্তে বোলিং করে গেল। ম্যাচআপের কারণেই এমনটা হয়েছে।’-যোগ করেন তিনি।
এইচজেএস