বেরোবির উপহারের বাস হস্তান্তর নিয়ে বিতর্ক, ছড়াচ্ছে নানা গুঞ্জন

বেরোবির উপহারের বাস হস্তান্তর নিয়ে বিতর্ক, ছড়াচ্ছে নানা গুঞ্জন

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) দেওয়া উপহারের বাস পরিত্যক্ত হওয়ায় সেটি হস্তান্তর নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এ নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) দেওয়া উপহারের বাস পরিত্যক্ত হওয়ায় সেটি হস্তান্তর নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এ নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে।

জানা গেছে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর দিকে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্তে ৫২ সিটের একটি বাস দেন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এ কে এম ছায়াদত হোসেন বকুল। চলতি বছরের এপ্রিলে তিনি বাসটি ফেরত চেয়ে উপাচার্য বরাবর চিঠি দিয়েছিলেন। তবে অভিযোগ উঠেছে, কাউকে না জানিয়ে বা কোনো চিঠি ইস্যু না করে বাসটি ক্যাম্পাস থেকে বের করা হয়েছে। এখন বাস গ্রহণ ও হস্তান্তরের স্বাক্ষরে মিল না থাকায় বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে। এদিকে স্বাক্ষরকারী একই ব্যক্তি কিনা তাও নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী বলেন, সাবেক উপাচার্য ড. হাসিবুর রশীদের লিখিত অনুমতিক্রমে গাড়ি ফেরত আদেশ দেওয়া হয়েছিল। গাড়িটি কে রিসিভ করছেন, তা পরিবহণ পুল বলতে পারবে।

পরিবহন পুলের উপ-সহকারী প্রকৌশল সরফরাজ আলম বলেন, বাসটি হস্তান্তর হবে এ বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। ছুটিতে যখন বাসায় ছিলাম তখন কে বা কারা বাসটি নিয়ে গেছে তা আমি জানি না।

এদিকে বাস প্রাপ্তি স্বীকারপত্রের একটি কপি গণমাধ্যমের কছে আসে। চিঠিতে উল্লেখ আছে, আমি ছায়াদত হোসেন বকুল বেরোবিকে উপহার দেওয়া বাসটি বুঝে পেয়েছি। তবে বাস ফেরত চেয়ে আবেদন ও প্রাপ্তি স্বীকারপত্রের চিঠির স্বাক্ষর একই না হওয়ায় এ নিয়েও বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে।

কেউ কেউ বলছেন একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সহযোগে বাসটি বিক্রি করে তার কিছু অংশ বাস ফেরতের আবেদনকারীকে দিয়ে বাকি টাকা নিজেরা ভাগ করে নিয়েছেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পরিবহণ পুলের কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থেকে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় বর্তমানে গা ঢাকা দিয়েছেন বেরোবিকে বাস প্রদানকারী ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এ কে এম ছায়াদত হোসেন বকুল। এ বিষয়ে জানতে তাকে একাধিকবার ফোন ও এসএমএস দিলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।

শিপন তালুকদার/এফআরএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *