বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক দিবস পালিত

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক দিবস পালিত

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র উপদেষ্টা ড. ইলিয়াস প্রামাণিক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. বিজন মোহন চাকী এবং আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. তাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় গণিত বিভাগের অধ্যাপক ও  আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. তাজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের মান-মর্যাদা এবং কাজের স্বীকৃতির জন্যই শিক্ষক দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য। শিক্ষকদের নিয়োগ, বেতন-ভাতা এবং কর্মপরিবেশ সম্পর্কে ইউনেস্কোর একটি সুপারিশ রয়েছে। তবে দুঃখজনকভাবে আমাদের দেশে শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বিদেশে শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন-ভাতা নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু বাংলাদেশে সেই সুবিধা নেই। আমরা শিক্ষকরা আমাদের শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারি।

কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ছাত্র উপদেষ্টা ড. ইলিয়াস প্রামাণিক বলেন, আমরা যে পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তাতে বর্তমান সরকার শিক্ষকদের বিশেষ প্রাধান্য দিচ্ছে। সরকারের উপদেষ্টা পর্যায়েও আমাদের শিক্ষকদের ভূমিকা রয়েছে, যা আমাদের জন্য একটি ইতিবাচক সময় বলে মনে করি। যদি এ বিশ্ববিদ্যালয় সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, তবে ভবিষ্যতে দেশ উন্নতির পথে অগ্রসর হবে। অন্যথায়, আমরা অন্ধকারের দিকে ধাবিত হতে পারি।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. বিজন মোহন চাকী বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর আমরা লক্ষ্য করেছি, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে, এটা অনুচিত। শিক্ষকদের ওপর আক্রমণ ছিল অধিক মাত্রায়। শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষার্থে একটি জাতীয় কর্মসূচি প্রণয়ন করা উচিৎ, যা আমাদের সামাজিক পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এবং একটি শক্তিশালী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। এর মাধ্যমে শিক্ষকদের মর্যাদা যেমন সুরক্ষিত হবে, তেমনি শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষায় অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে।

শিপন তালুকদার/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *