কানপুর টেস্টে বেরসিক বৃষ্টি হানা দিতে পারে এমন পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল। টেস্টের প্রথম দিনে ৩৫ ওভারের বেশি বল মাঠে গড়ায়নি বৃষ্টির বাধায়। এরপর দ্বিতীয় দিনের পুরোটাই ভেস্তে গেছে বৃষ্টিতে।
কানপুর টেস্টে বেরসিক বৃষ্টি হানা দিতে পারে এমন পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল। টেস্টের প্রথম দিনে ৩৫ ওভারের বেশি বল মাঠে গড়ায়নি বৃষ্টির বাধায়। এরপর দ্বিতীয় দিনের পুরোটাই ভেস্তে গেছে বৃষ্টিতে।
আজ (রোববার) তৃতীয় দিনে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এখনো খেলা শুরু করা যায়নি। যদিও সকাল থেকে কোনো বৃষ্টি নেই কানপুরের গ্রিন পার্কে। তবু খেলার উপযুক্ত করা যায়নি মাঠ। তাই অপেক্ষা কেবলই বাড়ছে। প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয়টিও ভেসে যাওয়ার শঙ্কা।
সাধারণত খেলা নির্ধারিত সময় সকাল ১০টায় শুরু হলে প্রথম সেশন চলতো বেলা ১২টা পর্যন্ত। কিন্তু সাড়ে ১০টায় আম্পায়াররা মাঠ পর্যবেক্ষণ করে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। ফলে আবারও পর্যবেক্ষণের সময় নির্ধারণ করা হয় দুপুর সাড়ে ১২টায় (বাংলাদেশ সময়)।
এ দফায়ও সন্তোষজনক কিছু পাননি ম্যাচ অফিসিয়ালরা। মাঠের বেশ কিছু জায়গা এখনও খেলার অনুপযুক্ত। এ ছাড়া বৃষ্টি না হলেও মেঘলা আকাশ কানপুরে। তাই আলোক স্বল্পতাও রয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুপুর আড়াইটায় আবারও মাঠ পরিদর্শনে নামবেন আম্পায়াররা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হতেও দেরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল আগেই। কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়াম এলাকায় গতকাল রাতভর বৃষ্টি হওয়ায় তারা এই শঙ্কার কথা জানায়। এমনিতে ম্যাচ শুরুর নির্ধারিত সময় সকাল ১০টা। এর আগে টেস্টের প্রথমদিনের খেলাও নির্ধারিত সময়ের চেয়ে একঘণ্টা পিছিয়ে ১১টায় শুরু হয়েছিল।
টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টির জন্য খেলা দেরিতে শুরু হয়। এরপর প্রথম সেশন শেষে বিরতির পর কিছুক্ষণ খেলা হতে আলোকস্বল্পতায় ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায়। পরে বৃষ্টি শুরু হলে নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়ে যায় খেলা। ফলে শুক্রবার গোটা দিনে মাত্র ৩৫ ওভার খেলা হয়েছে। ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান করেছে বাংলাদেশ। ৬ রান নিয়ে উইকেটে আছেন মুশফিকুর রহিম। অপর অপরাজিত ব্যাটার মুমিনুল হকের সংগ্রহ ৪০ রান।
এফআই