বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার হোতা সেই ইউজিসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার হোতা সেই ইউজিসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ১৬ জুলাই মধ্যরাতে হঠাৎ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সব শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনার নেপথ্যে ছিলেন ইউজিসির সিনিয়র সদস্য ও চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করা প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীর ও তৎকালীন সচিব।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ১৬ জুলাই মধ্যরাতে হঠাৎ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সব শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনার নেপথ্যে ছিলেন ইউজিসির সিনিয়র সদস্য ও চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করা প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীর ও তৎকালীন সচিব।

এরপর চেয়ারম্যান ও সচিবের পদত্যাগের দাবিতে ইউজিসিতে বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভের মুখে সচিব পদ থেকে ফেরদৌসকে সরিয়ে দেওয়া হলেও তিনি চেয়ারম্যান পদ আঁকড়ে ছিলেন। অবশেষ রোববার (১৮ আগস্ট) চেয়ারম্যানের পদ থেকেও সরে গেলেন আলমগীর। ইউজিসি সচিব বরাবর নিজের পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, তাড়াহুড়া করে ১৬ জুলাই মধ্যরাতে প্রথমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দেয় ইউজিসি। কিছু সময় পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্থলে বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনার কথা জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ কেন করা হলো, কোন আইনে করা হলো, এর কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর ১১ আগস্ট বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ। এরপর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করা ইউজিসির সিনিয়র সদস্য প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীরের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল।

পদত্যাগপত্রে তার সরে যাওয়ার কারণ লিখেছেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় গমন ও অবস্থান করার কারণে তার কর্তৃক অর্পিত হয়ে, আমি গত বছরের ২০ আগস্ট থেকে চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছি।

তিনি লেখেন, অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ স্বাস্থ্যগত কারণে গত ১১ আগস্ট চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, যা ওইদিনই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চশিক্ষা ও মাধ্যমিক বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও লেখেন, যেহেতু আমাকে দায়িত্ব প্রদানকারী ব্যক্তি তার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, এমতাবস্থায় সরকার বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোনোরূপ সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমি চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রইলাম। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

এদিকে ইউজিসি সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম সেই পত্র রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১ শাখার উপসচিব বরাবর পাঠিয়েছেন। পত্রে তিনি পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেছেন।

জানতে চাইলে ইউজিসির সচিব ফকরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রফেসর আলমগীর তার ওপর অর্পিত অতিরিক্ত চেয়ার‌ম্যানের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি এখন ইউজিসির সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বর্তমানে চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব কাউকে দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে সচিব বলেন, মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক রয়েছে। সেখানে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।

এনএম/জেডএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *