বিক্রি করা জমি দখলে নেওয়ার অভিযোগ আইনজীবীর বিরুদ্ধে

বিক্রি করা জমি দখলে নেওয়ার অভিযোগ আইনজীবীর বিরুদ্ধে

রাজধানীর ওয়ারীতে সাফ কবলা জমি বিক্রি করেও দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কথিত এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে।‌ 

রাজধানীর ওয়ারীতে সাফ কবলা জমি বিক্রি করেও দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কথিত এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে।‌ 

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে আল মুসলিম বিল্ডার্স নামে একটি আবাসন কোম্পানি।

লিখিত বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবী আনসারুজ্জামান বলেন, ২০১১ সালে রাজধানীর ওয়ারী এলাকার ১নং নবাব স্ট্রিটে ৯২.০৫ শতাংশ জমি কেনার জন্য কোম্পানিটি আইনজীবী সৈয়দ আজাহারুল কবীরের সঙ্গে বায়না চুক্তি সম্পাদন করে। ওই সময় আজহারুল কবীর নিজেকে সম্পূর্ণ জমির মালিক দাবি করে তাদের কাছ থেকে প্রায় ১১ কোটি টাকা নেন। 

পরবর্তীতে কাগজপত্র তল্লাশি করে আরও দুজন মালিকের নাম বেরিয়ে আসে। এরপর আজহারুল কবীর নিজেদের ভেতর আপস মীমাংসা করে সম্পূর্ণ জমি কোম্পানিকে বুঝিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করে দ্বিতীয় দফায় চুক্তিবদ্ধ হন। তখন তিনি জাল কাগজপত্র তৈরি করে কোম্পানিকে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় কোম্পানি মূল মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে ওই জমি কিনে নেয়। ওই জমিতে আজহারুল কবীরের মাত্র ৬.১৩ শতাংশ জমি রয়েছে। এ নিয়ে মামলা আদালতে গড়ালে বিচারকের মধ্যস্থতায় ২০২৪ সালের ১২মে সৈয়দ আজাহারুল কবীরের সঙ্গে পুণরায় একটি আপোষ চুক্তি সম্পন্ন হয়। যার ফলে তিনি জমির মালিকানার সমস্ত দাবি ত্যাগ করেন।

আরও বলেন, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বর্তমানে তার ওই সম্পত্তির উপর কোনো অধিকার নেই। তিনি সেখান থেকে বাসা স্থানান্তর করার জন্য কোম্পানির কাছ থেকে তিন মাস সময় নেন। ‌সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত ৭ আগস্ট সৈয়দ আজাহারুল কবীর ও তার সহযোগীরা ওই জমিতে অনুপ্রবেশ করে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে দায়িত্বরত আনসার সদস্য ও আল-মুসলিম গ্রুপের কর্মচারীদের উপর গুলি বর্ষণ করে কোম্পানির সম্পত্তি দখল করে নেয় এবং কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করে। এ ঘটনায় এক কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

কোম্পানির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আইনগত ব্যাবস্থা গ্ৰহণ করা হয়েছে। এছাড়া গত ২০ আগস্ট আজহারুল কবীর ওই জমি নিজের দাবি করে প্রতারণামূলক তথ্য দিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করে আল মুসলিম বিল্ডার্স ও আল মুসলিম গ্রুপের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করেছে সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টা চালায়। এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের আর্থিক সুরক্ষা প্রদানে ওই প্রতারকের কবল থেকে জমিটি উদ্ধার করার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ম্যানেজার এম এ কাইয়ুম ও আইনজীবী অ্যাডভোকে সাজিরুল হাসান।

/এমএইচএন/এমএসএ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *