বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয় গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর)। ফলে ওইদিন দিবাগত রাত থেকেই সারাদেশে বৈরী আবহাওয়া এবং টানা বৃষ্টিপাত শুরু হয়। একই অবস্থা বজায় থাকে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিনভরও। তবে বর্তমানে গভীর স্থল নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। যা বিকেল তিনটার মধ্যেই আরও দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনও ভারী বর্ষণের ঝুঁকিতে রয়েছে দুটির জেলা।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয় গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর)। ফলে ওইদিন দিবাগত রাত থেকেই সারাদেশে বৈরী আবহাওয়া এবং টানা বৃষ্টিপাত শুরু হয়। একই অবস্থা বজায় থাকে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিনভরও। তবে বর্তমানে গভীর স্থল নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। যা বিকেল তিনটার মধ্যেই আরও দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনও ভারী বর্ষণের ঝুঁকিতে রয়েছে দুটির জেলা।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, স্থল গভীর নিম্নচাপটি এখনও দুর্বল হয়নি। তবে শিগগিরই তা বৃষ্টি ঝরিয়ে আরও দুর্বল হবে। বর্তমানে এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন ঝাড়খণ্ড বরাবর অবস্থান করছে। এটি এখনও স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারেই আছে। আর বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরে এখনও বায়ু চাপ বজায় রয়েছে। যার কারণেই তিন নম্বর সতর্ক সংকেতও বহাল রয়েছে।
স্থল গভীর নিম্নচাপটি দুর্বল হতে আর কত সময় লাগতে পারে, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে এটি (স্থল গভীর নিম্নচাপ) দুর্বল হবে। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়ত আরও দুর্বল হবে। আমরা ধারণা করছি বিকেল ৩টার মধ্যেই স্থল গভীর নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপ বা নিম্নচাপে পরিণত হবে। পরিস্থিতি আরও দুর্বল হয়ে এর কেন্দ্র বাংলাদেশ অতিক্রম করবে।
বর্তমান অবস্থায় দেশের কোথাও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থল গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে এখন ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুটি বিভাগের কোথাও কোথাও আজ দুপুরের পর থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) অথবা অতি ভারী (২৮৯ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে।
তাপমাত্রা বাড়ার বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ড. মল্লিক বলেন, যেহেতু বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে সেজন্য দেশের অধিকাংশ জায়গাতেই তাপমাত্রাও বাড়বে। একইসাথে গরমের অনুভূতিও ধীরে ধীরে বাড়তে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে, সোমবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্থল গভীর নিম্নচাপটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন ঝাড়খণ্ড এলাকায় বিরাজমান রয়েছে। এটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, স্থল গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে বলেও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
আরএইচটি/জেডএস