পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের পরিবার ও আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছে স্বৈরাচারী সরকারের গুম, খুন ও পঙ্গুত্বকারীদের পাশে দাঁড়াতে গঠিত ‘আমরা বিএনপি পরিবার’। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের জন্য যা যা করণীয় সব করবে বলে ঘোষণা করেন সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন।
পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের পরিবার ও আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছে স্বৈরাচারী সরকারের গুম, খুন ও পঙ্গুত্বকারীদের পাশে দাঁড়াতে গঠিত ‘আমরা বিএনপি পরিবার’। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের জন্য যা যা করণীয় সব করবে বলে ঘোষণা করেন সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার হাজিরহাটের বেতেপাড়ায় এক অনুষ্ঠানে শহীদদের পরিবার ও আহতদের সঙ্গে এই সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আহত ও নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
আতিকুর রহমান রুমন বলেন, আমরা দেশনায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এই শহীদ ও আহতদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। তারেক রহমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেশের রাস্তাঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো শহীদদের নামে নামকরণ করতে হবে। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এই শহীদ ও আহতদের জন্য যা যা করণীয় সবই করবে ইনশাআল্লাহ।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক মাসের রক্তের লড়াইয়ে যারা জীবন দিয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন তারা ও তাদের পরিবার স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ৯০-এর গণআন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, ৫২ ভাষা আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন তারা স্মরণীয় হয়ে আছে। ২৪-এর লড়াইয়ে ১৫৫২ জন জীবন দিয়েছেন, তারা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ভারতে আশ্রিত সরকার দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ভূলুণ্ঠিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের মাটি কামড়ে ধরে থেকেছেন। আর উনি (শেখ হাসিনা) ৪৫ মিনিটে পালিয়ে গেলেন। ভারত ছাড়া কোনো দেশ তাকে জায়গায়ও দিচ্ছে না। ভারতে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। আওয়ামী লীগ ও ভারতের দোসরদের কঠিন জবাব দেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে হবে।
অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, আবাবিল পাখির মতো ৫ তারিখে (৫ আগস্ট) ঢাকার রাজপথে মানুষ আবির্ভাব হয়। গগনবিদারী স্লোগানে ঢাকার রাজপথ প্রকম্পিত হয়। পতিত সরকার হেলমেট বাহিনী ও পুলিশ বাহিনী দিয়ে নির্বিচারে হত্যা করেছে। তাদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার হওয়া দরকার। বৈষম্য ও শোষণমুক্ত জাতি ও সমাজ গঠন করতে হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে এবং জেলা জাসাসের আহ্বায়ক খালেদ হোসেন পরাগের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন বকুল, সাবেক এমপি সেলিম রেজা হাবিব, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সালাম খান মন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুল হক বাবু, নুর মোহাম্মদ মাসুম বগা, সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার, কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সাজু প্রমুখ।
এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন আন্দোলনে পাবনায় নিহত শহীদ জাহিদুল ইসলামের বাবা দুলাল উদ্দিন মাস্টার এবং শহীদ মাহবুব হাসান নিলয়ের বাবা আবুল কালাম। তারা তাদের সন্তান হত্যার বিচার এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসার দাবি করেন।
রাকিব হাসনাত/এমজেইউ