চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত মাদ্রাসাছাত্র সাইমুম (১৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় ঢাকার সুপার ম্যাক্স হাসপাতালে মারা গেছেন। হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত মাদ্রাসাছাত্র সাইমুম (১৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় ঢাকার সুপার ম্যাক্স হাসপাতালে মারা গেছেন। হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মাদ্রাসাছাত্র সাইমুম চাঁদপুর সদর উপজেলার মহামায়া বাজার এলাকায় মো. ইউনুসের ছেলে। তারা হাজীগঞ্জ পৌরসভার খাটরা বিলওয়াইতে ভাড়া বাসায় থাকেন। সাইমুম হাজীগঞ্জের স্থানীয় একটি হেফজ খানায় হাফেজি পড়তেন। তার বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টোরাগড় ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হাজীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের টোরাগড় সর্দার বাড়ির বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এতে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। রাত ১০টার পর সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। একপর্যায়ে তা হাজীগঞ্জ বাজারে ছড়িয়ে পড়ে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বন্ধ হয়ে যায় চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের যানবাহন চলাচল।
ঠিক কী কারণে সংঘর্ষ হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টোরাগড় ও মকিমাবদ সর্দার বাড়ির বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রথম দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। রাতে কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার হাজীগঞ্জ থানায় বৈঠক হলেও সমাধান হয়নি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আবারও দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, বিএনপির দুই গ্রুপ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে। নিহত কিশোরের মৃত্যুতে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আনোয়ারুল হক/