বাবার মৃত্যুশোক নিয়ে মাঠে নেমে আলোচনায় পাকিস্তান অধিনায়ক

বাবার মৃত্যুশোক নিয়ে মাঠে নেমে আলোচনায় পাকিস্তান অধিনায়ক

বাবার মৃত্যুশোককে সঙ্গী করেই মাঠে নেমেছিলেন পাকিস্তানের নারী দলের অধিনায়ক ফাতিমা সানা। বিশ্বকাপের আগেই নিদা দারকে সরিয়ে ফাতিমাকে অধিনায়ক করা হয়েছিল। কিন্তু টুর্নামেন্টের মাঝপথেই বাবাকে হারিয়েছেন এই পেসার। সেই খবর পেয়েই দেশে ফিরেছিলেন। যে কারণে পাকিস্তানের আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি। কিন্তু দেশের হয়ে খেলতে ফিরে আসেন মাঠে। 

বাবার মৃত্যুশোককে সঙ্গী করেই মাঠে নেমেছিলেন পাকিস্তানের নারী দলের অধিনায়ক ফাতিমা সানা। বিশ্বকাপের আগেই নিদা দারকে সরিয়ে ফাতিমাকে অধিনায়ক করা হয়েছিল। কিন্তু টুর্নামেন্টের মাঝপথেই বাবাকে হারিয়েছেন এই পেসার। সেই খবর পেয়েই দেশে ফিরেছিলেন। যে কারণে পাকিস্তানের আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি। কিন্তু দেশের হয়ে খেলতে ফিরে আসেন মাঠে। 

সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সোমবারের ম্যাচে খেললেন ফাতিমা সানা। ফিরে এসে নেতৃত্বও দিলেন। মাঠে ভাইরাল হল তাঁর একটি ছবি। মাঠে ফিরেই প্রয়াত বাবার জন্য মাঠেই কেঁদে ফেললেন সানা। কান্নাভেজা চোখেই দেশের হয়ে কর্তব্য পালন করলেন। পাকিস্তানের হার ছাপিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ফাতিমা সানার এমন নিবেদন। 

ম্যাচের আগে জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় ২২ বছর বয়সী পাক পেসারকে দেখা যায় আবেগী হয়ে পড়েছেন। নিজের বাবার মৃত্যুর শোক গোপন করতে পারলেন না তিনি। টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সে ছবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসায় ভাসছেন সানা। দেশের প্রতি তার নিষ্ঠার প্রশংসা করেন নেটিজেনরা।

সেমিফাইনালে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে সোমবারের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিততেই হতো পাকিস্তানকে। ১১১ রানের টার্গেট পার করতে হতো ১০৪ ওভারে। তবে কিউই নারীদের কাছে সেই ম্যাচটাও হেরেই গেল পাকিস্তান। সেই সঙ্গে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে পাকিস্তানের পাশাপাশি ছিটকে গেল ভারতও। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে গ্রুপ এ-র দ্বিতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলল নিউজিল্যান্ড।

 

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ-এ এর শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৫৪ রানে হেরে গেল পাকিস্তান। শেষ চারে গেল কিউই মেয়েরা। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল ভারত। আগে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ডের তোলা ১১০ রানের জবাবে পাকিস্তান শেষ ৫৬ রানে।

নিউজিল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারলে সেমিতে যেতে পারতো পাকিস্তান। প্রতিপক্ষকে কম রানে আটকে রেখে কাজটা অনেকটা করেই রেখেছি পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিং লাইনআপ। তবে ততটাই খারাপ ছিল তাদের ফিল্ডিং। ছেড়েছেন গোটা আটেক ক্যাচ। তবু খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ১০০ পার করে তারা।

ব্যাট হাতেও ভাল করা হয়নি পাকিস্তানের। পাওয়ারপ্লেতেই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে গিয়ে হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। সেখান থেকে আর বেরিয়ে আসা হয়নি তাদের। ৫২ থেকে ৫৬ রানে যেতেই শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে বড় ব্যবধানে হারতে হয় তাদের। ফাতিমা সানা এখানেও ছিলেন উজ্জ্বল। ব্যাট হাতে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২১ রান করেন। 

জেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *