চারপাশে পানি থৈ থৈ করছে। পানিবন্দি হয়ে সন্তান নিয়ে ঘরেই ছিলেন রাবেয়া বেগম। ঘরে নেই খাবার, হঠাৎ সোনাইমুড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাদ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির হলেন। দেখে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যান রাবেয়া বেগম।
চারপাশে পানি থৈ থৈ করছে। পানিবন্দি হয়ে সন্তান নিয়ে ঘরেই ছিলেন রাবেয়া বেগম। ঘরে নেই খাবার, হঠাৎ সোনাইমুড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাদ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির হলেন। দেখে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যান রাবেয়া বেগম।
এভাবে কেবল রাবেয়া বেগম নয় গতকাল শুক্রবার দিনভর বাড়ি বাড়ি গিয়ে এমন অসংখ্য পানিবন্দিদের খাদ্য সামগ্রী দিয়েছেন কানিজ ফাতেমা। ফলে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
জানা যায়, ভারী বর্ষণ ও ফেনীর মুহুরী নদীর পানিতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীসহ ৮টি উপজেলা প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েন অন্তত ২০ লাখ মানুষ। জেলার ৫০২ টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। অনেকে নিজের বসতবাড়িতে আছেন পানিবন্দি হয়ে।
সোনাইমুড়ীর আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা সালেহ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাঁটু পানি, কোমর পানি পার হয়ে ইউএনও ম্যাডাম আমাদের খাবার দিয়ে গেছেন। আমরা অনেক খুশি হয়েছি। ওনাকে আমাদের পাশে পেয়ে খুব ভালো লাগছে।
অসিম বকসি নামের এক বাসিন্দা ঢাকা পোস্টকে বলেন, বন্যাকবলিত বিভিন্ন অসহায় এবং বিপদগ্রস্ত মানুষের জন্য মানবিক কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং নিজে মাঠে নেমে সম্পৃক্ত থেকে সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করতে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন ইউএনও কানিজ ফাতেমা। আসলে বিপদে আপদে মানুষ চেনা যায়। মাত্র কয়েক মাস আগে যোগদান করে অনেক ভালো ভালো কাজ করে যাচ্ছেন সে।
এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সোনাইমুড়ী উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে আছে উপজেলা প্রশাসন। তাই সারাদিন পানিবন্দি ও আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। আমি অনুরোধ করব সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসুন।
এমএ