ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নিজের লেখা একটি কবিতা পাঠ করেছিলেন ওপার বাংলার সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। এরপরই তাকে নিয়ে শুরু হয় ট্রলিং! হতে হয় কটাক্ষের শিকার। বিষয়টি যে শিল্পীকে মর্মাহত করেছে, তা আর বুঝতে বাকি রাখে না। অবশেষে না পেরে আক্ষেপই প্রকাশ করলেন নচিকেতা।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নিজের লেখা একটি কবিতা পাঠ করেছিলেন ওপার বাংলার সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। এরপরই তাকে নিয়ে শুরু হয় ট্রলিং! হতে হয় কটাক্ষের শিকার। বিষয়টি যে শিল্পীকে মর্মাহত করেছে, তা আর বুঝতে বাকি রাখে না। অবশেষে না পেরে আক্ষেপই প্রকাশ করলেন নচিকেতা।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘প্রথম প্রতিবাদ তো আমিই করেছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি, কারও পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ না করলে ট্রলিং শুরু হবে! আমাকে শুনতে হচ্ছে, আমি কেন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছি না! বাঙালির এই চেহারা আমার দেখা ছিল না।’
নচিকেতার একাধিক গানে প্রতিবাদের ঝলক মিলেছে। আর জি কর-কাণ্ডে মানুষ যে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ করছেন, তা দেখে আপ্লুত শিল্পী। তবে আক্ষেপ জানিয়ে নচিকেতা বলেই ফেললেন, ‘৩১ বছর যে বাঙালির জন্য নিজেকে সঁপে দিলাম, সেই বাঙালিই আজ আমাকে ট্রল করছে! আমি সত্যিই দুঃখ পেয়েছি।’
নচিকেতার মতে, এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আরজি কর থেকে সরানোর জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টার মধ্যেই তো রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। তাই দিকভ্রষ্ট হলেই মুশকিল। বিষয়টির দ্রুত ন্যায়বিচার চেয়ে নচিকেতা বললেন, কেন দেরি হচ্ছে, বুঝতে পারছি না। সাধারণ মানুষ সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা পাচ্ছেন না। তাদের সর্বস্ব দিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। তাই দ্রুত বিষয়টার নিষ্পত্তি হওয়া উচিত।
বাংলার জীবনমূখী শিল্পী হিসেবে খ্যাত নচিকেতা চক্রবর্তী। তার সুরে বহু কালজয়ী গানে উঠে এসেছে ফুটপাতের গল্প, সাধারণ মধ্যবিত্তের মানসিকতা, ন্যায়-অন্যায়ের গল্প। নচিকেতা মনে করেন, সাধারণ মানুষের ওপর সাংস্কৃতিক প্রভাব কাজ করছে না। তার কথায়, ‘আমি তো মানুষের বোধের উন্নয়নের জন্য গান করেছি। কিন্তু দেখলাম, মানুষের বোধের কোনও উন্নতি হয়নি। তা না হলে, একটি মেয়ের সঙ্গে এ রকম নারকীয় ঘটনা ঘটতে পারে না।’
ডিএ