বাগেরহাটে সড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করা সিয়াম সরদার তামিম (১৭) নামের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আহত স্কুলছাত্রকে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাগেরহাটে সড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করা সিয়াম সরদার তামিম (১৭) নামের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আহত স্কুলছাত্রকে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত সিয়াম সরদার তামিম বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের সুন্দরঘোনা গ্রামের বিল্লাল সরদারের ছেলে। সিয়াম বাগেরহাটের দশানী যদুনাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ভোকেশনাল বিভাগের শিক্ষার্থী।
আহতের সহপাঠীরা জানান, গেল কয়েক দিন ধরে ষাটগম্বুজ মসজিদের সামনের খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কে তারা কাজ করছে। এতে সকলে তাদের সহযোগিতাও করছিলেন। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকেলেও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী সেখানকার সড়ক বিভাজনে কাজ করছিলেন।
আহত সিয়ামের বন্ধু রবিউছানি বলে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার কিছু আগে স্থানীয় শেখ রানা নামের এক যুবক রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে অন্য পাশের দোকান থেকে কিছু কিনতে পাঠান এক ছেলেকে। তখন সেখানে দায়িত্বে থাকা সিয়াম তাকে রাস্তার ওপর থেকে সরে যেতে বলে। কিন্তু সেই ব্যক্তি সরে না গিয়ে রানার সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে তিনি সিয়ামকে মারধর শুরু করেন। পরে অন্যরা এগিয়ে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।
হাসপাতালে সিয়ামের চাচা মো. জাহাঙ্গীর শেখ বলেন, মারধরের পর কয়েকজন এসে জিআই পাইপ নিয়ে সেখানে থাকা শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়ে যায়। কেন তারা রাস্তায় ডিউটি করছে, কারা বলেছে, দেখে নেবে এসব বলে গেছে। সিয়ামের অণ্ডকোষে নয়টি সেলাই লেগেছে।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত শেখ রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেখ আবু তালেব/এমজেইউ