বাংলাদেশ হকির জার্মান ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টরের পদত্যাগ!

বাংলাদেশ হকির জার্মান ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টরের পদত্যাগ!

বাংলাদেশ হকি দলের সাবেক জার্মান কোচ ও বর্তমান ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর গেরহার্ড পিটার পদত্যাগ করেছেন। আজ বিকেলে জার্মানি থেকে তিনি নিজেই এই প্রতিবেদককে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল হক প্রিন্সও বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

বাংলাদেশ হকি দলের সাবেক জার্মান কোচ ও বর্তমান ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর গেরহার্ড পিটার পদত্যাগ করেছেন। আজ বিকেলে জার্মানি থেকে তিনি নিজেই এই প্রতিবেদককে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল হক প্রিন্সও বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

জার্মানি থেকে প্রেরিত বার্তায় পিটার লেখেন, ‌’ইউরোপে সুইজারল্যান্ড, পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়ায় ৬ সপ্তাহের জন্য আমি অনূর্ধ্ব-২১ দলের ক্যাম্প ও প্রস্তুতি ম্যাচ নিশ্চিত করেছিলাম। সেটা বাতিল হওয়ার পর সিনিয়র কয়েকজন খেলোয়াড় আসার কথা ছিল। জার্মানির ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি চূড়ান্ত করেছি। সেটাও সম্ভব হচ্ছে না। এতে আমার জার্মানিতে সুনাম নষ্ঠ হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ হকির ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর পদে আজ থেকে আমি আর নেই। ফেডারেশনের নতুন বোর্ড আমাকে চাইলে তখন শুধু কোচিং করাতে পারি কিন্তু পরিকল্পনা ও সংগঠিত করা আর নয়।’

মাস দু’য়েক আগে জার্মান কোচ গেরহার্ড পিটারকে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন এক বছরের জন্য ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে। তিনি ইউরোপে খেলোয়াড়দের খেলার সুযোগ করে দেবেন এবং কিছু সময় বাংলাদেশে এসে কোচদের প্রশিক্ষণ দেবেন এমন আলোচনাই ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে। জুনিয়র এশিয়া কাপের বাছাই খেলতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-২১ খেলোয়াড়দের জার্মান সফর যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে ম্যানেজার ছিলেন বিতর্কিত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরি সম্রাট। এ নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় এবং পরবর্তীতে দেশের পরিস্থিতি পরিবর্তন হওয়ায় সেই সফর বাতিল হয়।

৫ আগস্ট ঘটনার পর থেকে হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদের খোজ পাচ্ছেন না হকি সংশ্লিষ্টরা। অনূর্ধ্ব-২১ সফর বাতিল হওয়ার পর যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল হক প্রিন্স সিনিয়র কয়েকজন খেলোয়াড় পাঠানোর উদ্যোগ নেন। সেই উদ্যোগ খানিকটা অগ্রসর হলেও গতকাল আকস্মিকভাবে থেমেছে। সেই থেমে যাওয়ার পরই মূলত আজ পিটার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

পিটারের পদত্যাগ সম্পর্কে ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল হক প্রিন্স বলেন, ‘পিটার আমাকেও তার পদত্যাগ বার্তা পাঠিয়েছে। বিষয়টি আসলেই দুঃখজনক। জার্মানি খেলোয়াড় পাঠানো নিয়ে আমরা এক মাসের বেশি সময় কাজ করলেও শেষ পর্যন্ত পাঠাতে পারলাম না। এতে সামনে হকি খেলোয়াড়দের ইউরোপের দ্বার রুদ্ধ হয়ে যেতে পারে।’

পিটার এক যুগ আগে বাংলাদেশ হকি দলের কোচ ছিলেন। তার মাধ্যমেই বাংলাদেশের হকি খেলোয়াড়রা ইউরোপে খেলা শুরু করে। সেই ধারাবাহিকতা এখনো রয়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে খেলোয়াড়রা প্রায় প্রতি বছরই ইউরোপ যান। এবার ফেডারেশনের মাধ্যমে যাওয়ার উদ্যোগ শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। এই প্রসঙ্গে ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল হক প্রিন্সের মন্তব্য, ‘পিটারের অভিমান অনেকটাই সঠিক। খেলোয়াড়রাও বঞ্চিত হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও সিদ্ধান্ত না হওয়ায় খেলোয়াড়রদের জার্মান সফর বাতিল হয়েছে।’

এজেড/এইচজেএস 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *