স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সংখ্যালঘুদের গায়ে হাত দিলে বা নির্যাতন করলে কেউ ছাড় পাবে না, দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ থানাগুলো কাজ শুরু করেছে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সংখ্যালঘুদের গায়ে হাত দিলে বা নির্যাতন করলে কেউ ছাড় পাবে না, দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ থানাগুলো কাজ শুরু করেছে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সচিবালয়ে তার দপ্তরে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণা কনসিয়াসনেস বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ছোটবেলা থেকে সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে মিলেমিশে বড় হয়েছি। সেখানে কোনো বিভেদ ছিল না।
তিনি বলেন, আমরা কোনো মারামারি, হানাহানি, সহিংসতা চাই না। আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী।
বৈঠকে ‘ইসকন বাংলাদেশ’ এর সভাপতি সত্য রঞ্জন বাড়ৈ ‘ইসকন’ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরেন এবং সংগঠনটির বিভিন্ন কার্যক্রম বর্ণনা করেন। তিনি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান। এছাড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে আইন প্রণয়ন, মনিটরিং সেল গঠন, সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, মন্দিরগুলোর জন্য সার্বক্ষণিক রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা প্রদানসহ আট দফা প্রস্তাবনা পেশ করেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব বিষয়ে তার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সাত সদস্যদের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন- ইসকন বাংলাদেশের সভাপতি সত্য রঞ্জন বাড়ৈ (শুদ্ধসত্ত্ব গোবিন্দ দাস), সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী (চন্ডি দাস বালা), কোষাধ্যক্ষ জ্যোতিশ্বর গৌর দাস (জ্যোতি প্রকাশ রায়), পাবলিক রিলেশন বিভাগের সহপরিচালক বিমল কুমার ঘোষ (বিমলা প্রসাদ দাস), ফুড ফর লাইফের পরিচালক অমানি কৃষ্ণ দাস, কার্যকরী কমিটির সদস্য সুদর্শন জগন্নাথ দাস (সুকান্ত চক্রবর্তী) ও ইসকন ন্যাশনাল ক্রাইসিস কমিটির সদস্য যুগধর্ম দাস (যুবরাজ গোপ) প্রমুখ।
এমএম/এসএম