টেস্ট সিরিজ শেষে এবার সাদা বলের লড়াইয়ে ফিরছে বাংলাদেশ ও ভারত। আগামী ৬ অক্টোবর থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। প্রথম টি-টোয়েন্টি মাঠে গড়াবে গোয়ালিয়রে, যেখানে প্রায় ১৪ বছর পর গড়াবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তবে ম্যাচের দিন ‘গোয়ালিয়র বনধ’ তথা কঠোর কর্মসূচির ডাক দিয়েছে হিন্দু মহাসভা।
টেস্ট সিরিজ শেষে এবার সাদা বলের লড়াইয়ে ফিরছে বাংলাদেশ ও ভারত। আগামী ৬ অক্টোবর থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। প্রথম টি-টোয়েন্টি মাঠে গড়াবে গোয়ালিয়রে, যেখানে প্রায় ১৪ বছর পর গড়াবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তবে ম্যাচের দিন ‘গোয়ালিয়র বনধ’ তথা কঠোর কর্মসূচির ডাক দিয়েছে হিন্দু মহাসভা।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পর হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ ও তাদের বাড়ি-ঘরে হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। যার জেরে বাংলাদেশের ভারত সফরের বেশ কয়েকটি ম্যাচে হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তাদের প্রতিবাদের মুখে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা দিচ্ছে মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা এবং গোয়ালিয়রের প্রশাসন।
রোববারের ম্যাচের আগে হঠাৎ বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। ম্যাচটিকে ঘিরে গোয়ালিয়রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে মানুষের চলাচল ও কর্মকাণ্ড সীমিত করার কথা জানিয়েছেন গোয়ালিয়রের কালেক্টর ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রুচিকা চৌহান।
সংবাদমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নাল তার বরাতে জানিয়েছে, ভারতের সিভিল ডিফেন্স কোড ১৬৩ ধারার অধীনে (কর্মকাণ্ড) সংরক্ষিত আদেশ জারি করা হয়েছে। যা সক্রিয় থাকবে ৭ অক্টোবর (ম্যাচের পরদিন) পর্যন্ত।
ধর্মীয় ভাবাবেগ কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। সেই কারণেই কোনো প্রকার প্রতিবাদ করা যাবে না। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় হিংসাত্মক কোনো কিছু ছড়ানোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। কেউ যদি এই নিষেধাজ্ঞা না মানেন, তা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এর আগে স্টেডিয়ামের আশপাশের এলাকা থেকে কমপক্ষে ১৯ বিক্ষোভকারীকে আটকের খবর জানিয়েছিল স্থানীয় পুলিশ। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, খেলার দিন যারা স্টেডিয়ামে যাবেন, তারা ব্যানার, পোস্টার, পতাকা, কাটআউটে আপত্তিজনক কোনো কিছু লিখে আনতে পারবেন না। সব মিলিয়ে কড়া নিরাপত্তায় ম্যাচটি আয়োজিত হতে যাচ্ছে বলেই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
এফআই