ঘরের মাঠে বরাবরই স্পিন বান্ধব উইকেট বানায় ভারত। বাংলাদেশের বিপক্ষেও এমন উইকেটেই খেলতে পারে রোহিত শর্মার দল। তবে সঞ্জয় মাঞ্জরেকার মনে করেন, বাংলাদেশ স্পিন ভালো খেলে এবং দলে ভালো মানের স্পিনারও আছে। তাই অতিরিক্ত টার্নিং উইকেট বানালে নিজেদের বানানো ফাঁদেই ধরা পড়তে পারে ভারত।
ঘরের মাঠে বরাবরই স্পিন বান্ধব উইকেট বানায় ভারত। বাংলাদেশের বিপক্ষেও এমন উইকেটেই খেলতে পারে রোহিত শর্মার দল। তবে সঞ্জয় মাঞ্জরেকার মনে করেন, বাংলাদেশ স্পিন ভালো খেলে এবং দলে ভালো মানের স্পিনারও আছে। তাই অতিরিক্ত টার্নিং উইকেট বানালে নিজেদের বানানো ফাঁদেই ধরা পড়তে পারে ভারত।
ক্রিকেট পোর্টাল ইএসপিএনক্রিকইনফোর সঙ্গে বাংলাদেশ–ভারত ম্যাচ নিয়ে আলোচনায় মাঞ্জরেকার বলেছেন, ‘ভারতের বাংলাদেশের কাছ থেকে বাঁচতে হবে, এ জন্য না যে তারা পাকিস্তানকে হারিয়েছে।’
‘যদি র্যাঙ্ক টার্নার (অতিরিক্ত টার্নিং উইকেট) উইকেট বানানো হয়, যা আমাদের এখানে রণনীতিও হয়ে থাকে; তবে মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের তিনজন ভালো স্পিনার আছে। একজন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং দুজন বাঁহাতি স্পিনার। যাদের মধ্যে একজন আবার সাকিব।’-যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান স্পিনের বিপক্ষে ভালো ব্যাটিং করেন। তা মনে করিয়ে দিয়ে মাঞ্জরেকার বলেছেন, ‘বাংলাদেশে মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাসের মতো ব্যাটসম্যান আছে, যারা ৭–৮ নম্বরে ব্যাটিং করে। সাকিবও আছে। তাদের স্পিন ভালো খেলার মতো ব্যাটসম্যান আছে। বিষয়টা এখানে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বা দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে আলাদা। এই দলগুলোর ব্যাটিং লাইনআপে এমন খেলোয়াড় নেই, যারা র্যাঙ্ক টার্নারে ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে।’
‘টার্নিং উইকেট দুই ধরনের হয়। একটা হচ্ছে যেখানে অনেক বেশি টার্ন হয় এবং অন্যটা হচ্ছে ভারতীয় টার্নিং উইকেট যেমন হয় তেমন। ম্যাচের তিন–চার দিন পর অবশ্য তেমনটা হয়েই যায়। তত দিন ম্যাচ গড়ালে কিছুটা টার্ন নেওয়া শুরু করে। আমার ধারণা হচ্ছে, যদি র্যাঙ্ক টার্নার দেওয়া হয় তবে বাংলাদেশের জন্য কিছুটা সহজ হবে, সেটা ভারতের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য, জেতার জন্য নয়। যদি তেমন উইকেট না দেয়, তবে ভারতকে মুশকিলে ফেলা বাংলাদেশের জন্য কঠিন হবে।’-যোগ করেন তিনি।
এইচজেএস