পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক সিরিজ জেতার সুখস্মৃতি নিয়ে ভারতে খেলতে যাওয়া বাংলাদেশ খুব একটা লড়াই করতে পারলো না চেন্নাইয়ে। সফরকারীদের বিপক্ষে সাড়ে তিন দিনেরও কম সময়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছে ভারত। সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্ট কানপুরে। সেখানেও ফেবারিট থাকবেন রোহিত শর্মারা।
পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক সিরিজ জেতার সুখস্মৃতি নিয়ে ভারতে খেলতে যাওয়া বাংলাদেশ খুব একটা লড়াই করতে পারলো না চেন্নাইয়ে। সফরকারীদের বিপক্ষে সাড়ে তিন দিনেরও কম সময়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছে ভারত। সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্ট কানপুরে। সেখানেও ফেবারিট থাকবেন রোহিত শর্মারা।
কিন্তু দুই জায়গার পিচ আলাদা। ফলে বদল আসতে পারে দলেও। তাহলে কি বিশ্রামে পাঠানো হবে জসপ্রীত বুমরাহকে? সেক্ষেত্রে ভারতীয় টিমে জায়গা হবে কার?
চেন্নাইয়ের পিচ ছিল লাল মাটির। দুই দলের পেসাররা অতিরিক্ত বাউন্স পেয়েছেন। তবে বাংলাদেশের ব্যাটাররা নিজেদের ভুলেই মুখ থুবড়ে পড়েছে। কিন্তু কানপুরের পিচ সেরকম হবে না বলেই খবর। সেখানে কালো মাটির পিচেই দেখা যাবে রোহিতদের সঙ্গে শান্তদের লড়াই।
ফলে এই পিচে বাউন্স থাকবে না। বল আসবে নীচু হয়ে। তবে তার মানে এই নয় যে, একেবারে ঘূর্ণি পিচ হবে। বরং ব্যাটাররা কিছু সাহায্য পেতে পারেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবু পিচের চরিত্রের কথা মাথায় রেখে তিন স্পিনারে খেলতে পারেন রোহিত শর্মারা। অশ্বিন-জাদেজা ছাড়াও দলে ঢুকতে পারেন কুলদীপ বা অক্ষর। অবশ্য সেটা কে হবেন, তা এখনও ঠিক করা হয়নি বলেই খবর। বছরের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ১৯টি উইকেট পেয়েছিলেন কুলদীপ। সেই পরিসংখ্যান তাকে এগিয়ে রাখতে পারে।
আর সেখানেই ভারতের কাছে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। জশপ্রীত বুমরাহকে কি তাহলে বিশ্রামে পাঠান হবে? বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। তবে দলটির সামনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট ম্যাচ আছে। নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর নভেম্বর থেকে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি। বুমরাহ যাতে তরতাজা হয়ে সেখানে নামতে পারেন, সেদিকে লক্ষ্য থাকবে টিম ম্যানেজমেন্টের।
আরও একটা মত, চেন্নাইয়ে খুব বেশি বল করতে হয়নি বুমরাহকে। প্রথম ইনিংসে ১১ ওভার হাত ঘোরানোর পর, দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১০ ওভার বল করেছেন। শেষ পর্যন্ত কানপুরে রোহিতরা কোন প্রথম একাদশ নামান, সেটা সময়ই বলবে।
এফআই