‘ক্রিকেটকে আরও ভালো করা’– শুধুমাত্র এমন যুক্তিতে যদি প্রতিপক্ষকে ম্যাচে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তবে সেটা হয়ত কিছুটা বাড়তি প্রশ্নের জন্ম দিতেই পারে। যেমনটা প্রশ্ন উঠল ভারতের উইকেটরক্ষক ঋষভ পান্তের কাছে। চেন্নাই টেস্টের তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের ফিল্ডিং সেটাপ নিজেই ঠিক করে দিয়েছিলেন ভারতের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
‘ক্রিকেটকে আরও ভালো করা’– শুধুমাত্র এমন যুক্তিতে যদি প্রতিপক্ষকে ম্যাচে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তবে সেটা হয়ত কিছুটা বাড়তি প্রশ্নের জন্ম দিতেই পারে। যেমনটা প্রশ্ন উঠল ভারতের উইকেটরক্ষক ঋষভ পান্তের কাছে। চেন্নাই টেস্টের তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের ফিল্ডিং সেটাপ নিজেই ঠিক করে দিয়েছিলেন ভারতের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক আকারে চর্চিত হয়েছে বিষয়টি। হাস্যরসের জন্ম যেমন দিয়েছে, তেমনি পান্তের প্রশংসাও হয়েছে ভারতের সাধারণ ক্রিকেটভক্তদের মাঝে। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস যখন চলছিল, একপর্যায়ে পান্তকে দেখা যায় বাংলাদেশের ফিল্ডিং সাজিয়ে দিতে। তার কথা শুনে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন ফিল্ডারকে জায়গামতো দাঁড়ও করান।
পান্ত যখন এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন, তখন বোলিং আক্রমণে এসেছিলেন তাসকিন আহমেদ। তাসকিনও ফিল্ডিং সেটাপেই মনোযোগী ছিলেন। সেসময় অফ সাইডে বাংলাদেশের দুই ফিল্ডারকে পাশাপাশি দাঁড়ানো দেখে পান্ত হাত দিয়ে মিডউইকেটের দিকে ইশারা করে বলে ফেলেন, ‘আরে ভাই, এদিকে একজন আসো। এদিকে। ফিল্ডার কম আছে।’
গতকাল ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ভারতের ধারাভাষ্যকার সাবা করিম পান্তকে কাছে পেয়ে সেই ঘটনা মনে করিয়ে দেন। ভারতীয় ধারাভাষ্যকারের প্রশ্ন, সে সময় বাংলাদেশের অধিনায়ক কে ছিলেন? শান্ত নাকি পান্ত?
প্রশ্ন শুনে খানিক হেসে পান্ত জানালেন এমন কাণ্ডের কারণ, ‘ক্রিকেটে কীভাবে আরও ভালো করা যায়, এ নিয়ে অজয় (জাদেজা) ভাইয়ের সঙ্গে আমার প্রায়ই কথা হয়। সেটা নিজের দলের হোক বা অন্য দলের হোক। ওখানে তখন ফিল্ডার ছিল না। এক জায়গায় দুজন দাঁড়িয়েছিল। আমি তাই বললাম, ওখানে একজন ফিল্ডার দাও।’
পান্ত অবশ্য সেই ফিল্ডিং সাজিয়ে দেয়া ছাড়া বাকি সময়টা বাংলাদেশকে ভালোই ভুগিয়েছেন। অন্তত দ্বিতীয় ইনিংসে। খেলেছেন ১০৯ রানের দারুণ এক ইনিংস। তাতে টাইগাররা ম্যাচ থেকে ছিটকেও গিয়েছে। ক্রিকেটকে ভালো নিশ্চিতভাবে পুরোদমেই করেছেন পান্ত।
জেএ