বাংলাদেশের বিপক্ষে বলতে গেলে রীতিমত দ্বিতীয় সারির একটা দলই মাঠে নামিয়েছিল ভারত। যে দলে নেই জাসপ্রীত বুমরাহ, ঋষভ পান্ত, শিভাম দুবে কিংবা যশস্বী জয়সওয়ালরা। বিশ্বকাপজয়ী স্কোয়াড থেকে মোটে ৩জনকেই মাঠে নামিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। সেই দলের বিপক্ষেই রীতিমত ধুঁকেছে বাংলাদেশ। নিজেরা ব্যাটিং করতে গিয়ে আউট হয়েছে ১২৭ রানে। আর বল হাতে প্রতিপক্ষের ওপর কোনো চাপই সৃষ্টি করা হয়নি তাদের।
বাংলাদেশের বিপক্ষে বলতে গেলে রীতিমত দ্বিতীয় সারির একটা দলই মাঠে নামিয়েছিল ভারত। যে দলে নেই জাসপ্রীত বুমরাহ, ঋষভ পান্ত, শিভাম দুবে কিংবা যশস্বী জয়সওয়ালরা। বিশ্বকাপজয়ী স্কোয়াড থেকে মোটে ৩জনকেই মাঠে নামিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। সেই দলের বিপক্ষেই রীতিমত ধুঁকেছে বাংলাদেশ। নিজেরা ব্যাটিং করতে গিয়ে আউট হয়েছে ১২৭ রানে। আর বল হাতে প্রতিপক্ষের ওপর কোনো চাপই সৃষ্টি করা হয়নি তাদের।
বাংলাদেশের নড়বড়ে ব্যাটিং লাইনআপে প্রথম আঘাত করেছিলেন আর্শদীপ সিং। প্রথম ওভারে লিটন দাসকে ফাঁদে ফেলে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন। আর নিজের পরের ওভারে পারভেজ ইমনকে করেছেন বোল্ড। ইনসাইড এজে বোল্ড হয়েছেন এই ওপেনার।
আর এরই সুবাদে ক্রিকেট বিশ্বে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেন বিশ্বকাপজয়ী এই পেসার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশিবার পাওয়ারপ্লেতে দুই বা এর বেশি উইকেট নেয়ার তালিকায় তিনে উঠে এসেছেন ভারতের এই পেসার। গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে ক্যারিয়ারে ৯ম বার পাওয়ারপ্লেতে দুই উইকেট শিকার করেছেন আর্শদীপ।
ক্রিকেটের দুনিয়াতে টি-টোয়েন্টির পাওয়ারপ্লের মাঝে সবচেয়ে বেশি দুই বা এর বেশি উইকেট নেয়ার রেকর্ড নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদির। ১৩ বার টি-টোয়েন্টির প্রথম ৬ ওভারের মাঝেই দুই উইকেট পেয়েছেন কিউই ফাস্ট বোলার। দুইয়ে আছেন নাভিন উল হক। আফগানিস্তানের পেসারের এমন কীর্তি আছে ১১বার।
গতকালের দুই উইকেটের সুবাদে অভিষেকের পর থেকে পাওয়ারপ্লেতে ৩২ উইকেট শিকার করেছিলেন আর্শদীপ। পাঞ্জাবের এই ক্রিকেটারের টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় ২০২২ সালে। সেই সময়ের পর থেকে টি-টোয়েন্টির প্রথম ৬ ওভারে তারচেয়ে বেশি উইকেট পায়নি আর কেউই। রুয়ান্ডার বিমেনয়িমানা এসময় পাওয়ারপ্লেতে পেয়েছেন ২৯ উইকেট।
মাইলফলকের খাতায় নাম তুলেছেন আরও এক পেসার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অভিষেকে নিজের প্রথম ওভারেই গতকাল মেইডেন ওভার পেয়েছিলেন ভারতের পেসার মায়াঙ্ক যাদব। ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভার করতে এসে তাওহীদ হৃদয়কে উপহার দেন দুঃসময়। পেয়ে যান মেইডেন ওভার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের হয়ে এমন ঘটনা তৃতীয়বার ঘটল।
২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অভিষেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই মেইডেন পেয়েছিলেন অজিত আগারকার। ২০২২ সালে এসে এমন কীর্তি গড়েন আর্শদীপ সিং। সাউদাম্পটনের সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। আর সবশেষ গতকাল গোয়ালিয়রে বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে নেমে প্রথম ওভারে মেইডেন পান মায়াঙ্ক যাদব।
এদিন দলগতভাবেও ভারত নিজেদের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়েছে। বাংলাদেশকে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট করে সেই লক্ষ্য ভারত পেরিয়ে গিয়েছে ৪৯ বল হাতে রেখেই৷ আর এর মাধ্যমে এক রেকর্ড গড়লো সুরিয়াকুমার ইয়াদাভের দল। ১০০ এর ওপর টার্গেটে ব্যাটিং করে বল হাতে রাখার বিবেচনায় এটি ভারতের সবচেয়ে বড় জয়।
বল হাতে রাখার বিবেচনায় টিম ইন্ডিয়ার এর আগের সবচেয়ে বড় জয় ছিলো ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। হারারেতে সেই ম্যাচে মাত্র ১০০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৪১ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটের জয় পায় ভারত। গতকাল সেটাও টপকে গেল ভারত।
জেএ