গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) নতুন উপাচার্য ড. হোসেন উদ্দিন শেখর যোগদান করেছেন। বুধবার তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে যোগদান করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে স্বাগত জানান।
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) নতুন উপাচার্য ড. হোসেন উদ্দিন শেখর যোগদান করেছেন। বুধবার তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে যোগদান করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে স্বাগত জানান।
যোগদান শেষে উপাচার্য ড. হোসেন উদ্দিন শেখর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও মতবিনিময় সভা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ে তিনি অবগত হন।
এদিকে গবেষণাবান্ধব উপাচার্য পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি তাই এখানে গবেষণার গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। আমরা যাকে উপাচার্য হিসেবে পেয়েছি, তিনি নোবেল বিজয়ীর সঙ্গে গবেষণা কাজ করেছেন। এটা শিক্ষার্থীদের গবেষণায় মনোনিবেশ করতে উৎসাহ জোগাবে।
ড. হোসেন উদ্দিন শেখর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক। তার লেখা একাধিক বই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া গুগলে তার নাম লিখে সার্চ দিলে তার গবেষণার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে উপাচার্য হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, আমি দীর্ঘ তিন দশক ধরে গবেষণা ও শিক্ষকতা করছি। সরকার আমাকে একটি দায়িত্ব দিয়েছে, আমি তা ঠিকমতো পালন করব। আমার লক্ষ্য হবে সেশনজটমুক্ত করে শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণাবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা।
এর আগে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ. এস. এম কাসেম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ড. হোসেন উদ্দিন শেখরকে উপাচার্য পদে নিয়োগের কথা জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বশেমুরবিপ্রবি আইন, ২০০১–এর ১০(১) ধারা অনুযায়ী ড. হোসেন উদ্দিন শেখরকে ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) পদে নিয়োগ করা হলো।
নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে— ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে চার বছর হবে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন। ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন এবং এ নিয়োগ তার যোগদানের তারিখ থেকে কার্যকর।
এমজেইউ