বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন

বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন

‘পর্যটন শান্তির সোপান’ প্রতিপাদ্যে উদযাপন করা হয়েছে বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৪। দিবসটি উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

‘পর্যটন শান্তির সোপান’ প্রতিপাদ্যে উদযাপন করা হয়েছে বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৪। দিবসটি উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবন এলাকায় বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, অধীন দপ্তর-সংস্থাগুলো, ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংগঠনের সদস্যরা প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, টিশার্ট, রঙ-বেরঙের বেলুন, ব্যান্ডপার্টি নিয়ে র‌্যালিতে অংশ নেন।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব নাসরীন জাহান র‌্যালির উদ্বোধন করেন। র‌্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পর্যটন ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর  ভবনের ‘শৈল প্রপাত’ হলে বিশ্ব পর্যটন দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব নাসরীন জাহান, প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান।

সভায় আরও বক্তব্য দেন সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুরুল কবীর ভুঁইয়া, ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মো. আবু কালাম সিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল আলম খন্দকার, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাতেমা রহীম ভীনা প্রমুখ।

সভায় ড. মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা বিরাজমান। কিন্তু এ বিশাল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমরা এ খাতে কাঙিক্ষত লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। এ শিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা। দেশীয় পর্যটন বিকাশের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে প্রচার-প্রচারণার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। পাশাপাশি এ শিল্পের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। সঠিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে পর্যটন শিল্প অন্যতম ভূমিকা পালন করতে পারবে।

নাসরীন জাহান বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের ইমেজ বিল্ডিং-এ পর্যটন শিল্পের ভূমিকা বিশাল। এ বিশাল ভূমিকাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে এশিয়ার অন্যতম পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এমএসআই/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *