বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ, চালু আছে স্কুল-কলেজ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ, চালু আছে স্কুল-কলেজ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রোববারের (১৫ সেপ্টেম্বর) ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে অফিসিয়াল কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই পরিচালিত হবে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রোববারের (১৫ সেপ্টেম্বর) ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে অফিসিয়াল কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই পরিচালিত হবে।

বৈরী আবহাওয়া ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই কালকে থেকে পূর্বের নিয়মে ক্লাস, পরীক্ষা গ্রহণ শুরু হবে।

তবে বরিশাল বিভাগের সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা এবং কলেজগুলো চালু রাখা হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ায় ক্লাসে উপস্থিতির সংখ্যা কম হলেও পাঠদান স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধানদের সঙ্গে আলাপ করে এই তথ্য জানা গেছে।

বরিশাল জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি থাকলেও ক্লাসে এসেছি। পথে আসতে গিয়েও অনেক স্থানে রাস্তা ডুবে গেছে দেখেছি। তারপরও আমি ক্লাস বাদ দিতে চাই না।

সদর উপজেলার চরকরনজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র দাস বলেন, শনিবার ও আজকে ক্লাসে উপস্থিতি সংখ্যা একেবারেই কম। শিক্ষার্থীদের আসলে উপায় নেই। এত বৃষ্টি আর বৈরী আবহাওয়া তার ওপরে বিদ্যুৎ থাকে না।

চন্দ্রমোহনের টুমচর কেরামতিয়া দাখিল মাদরাসার সুপারিনটেন্ড আব্দুল জলিল বলেন, আমাদের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতেই চলছে। যদিও প্রচণ্ড বৃষ্টি আর আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। বর্ষা মৌসুমে এভাবে বৃষ্টি হবে এটিই স্বাভাবিক।

প্রাথমিক শিক্ষা বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাহ মো. রাকিবুল হাসান বলেন, বিভাগের সাড়ে ছয় হাজারের মতো প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। আবহাওয়া বৈরী থাকলেও বিদ্যালয় বন্ধের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। স্থানীয় ম্যানেজমেন্টে কেউ হয়তো সংরক্ষিত করতে পারে। তবে সব প্রতিষ্ঠানই চালু আছে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বৃষ্টি দক্ষিণাঞ্চলের জন্য কোনো প্রাকৃতিক দুযোর্গ নয়। মৌসুমে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সেজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলতে পারে। বরিশাল জেলার সবগুলো মাধ্যমিক বিদ্যালয় চালু আছে। ঝড়-জলোচ্ছাস ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিলে তখন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এছাড়া ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা শিক্ষা অফিস থেকে জানানো হয়েছে, সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বরিশাল নদী বন্দরকে ১ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আব্দুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, লঘুচাপের প্রভাব আজকের মধ্যে কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *