দুটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় ভাঙচুর চালিয়েছে একটি পক্ষ। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি জানান, টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শহীদ আরজু মনি স্কুলের শিক্ষার্থীদের নগরীর রাখাল বাবুর পুকুর পাড়ে মারামারি হয়। সেখান থেকে একটি পক্ষ থানায় এসে উত্তেজিতভাবে পার্ক করে রাখা একটি ব্যক্তি মালিকানার গাড়ি ও থানার টব ভাঙচুর করে। হয়ত তারা যা বোঝাতে চেয়েছে আমরা বুঝতে পারিনি। আমরা পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সহায়তা চাওয়ার কথা বলেছিলাম।
থানার এএসআই সানোয়ার হোসেন জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে ২৫-৩০ জনের একটি কিশোর দল উত্তেজিত হয়ে থানায় প্রবেশ করে। তাদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানালেও তারা থানার মধ্যে একটি পিকআপের গ্লাস ও পুলিশের একটি মোটরসাইকেলের গ্লাস ভাঙচুর করে। তারা থানার অভ্যর্থনা কক্ষের সোফা এবং টেবিল ভাঙচুরের চেষ্টা করে। এ সময় তারা চিৎকার চেঁচামেচি করে পুলিশদের উদ্দেশ্যে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এবং ওসি এসে তাদের শান্ত করেন।
থানায় অবস্থানকারী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিফাত বলেন, কিছুদিন আগে নগরীর ফকির বাড়ি রোডের রাখাল বাবু পুকুরের পাড় এলাকার তানজিম, হৃদয়, সানমুনদের সঙ্গে তাদের বিরোধ হয়। বৃহস্পতিবার তাদের একজনকে পেয়ে চড় দিয়েছিল প্রতিপক্ষ। বিষয়টি সমাধান করতে তারা রাখাল বাবুর পুকুরের পাড় এলাকায় আসেন। এসময় তাদের দুই বন্ধুকে কুপিয়েছে অপর পক্ষের লোকজন। এ জন্য তারা পুলিশের কাছে সহায়তা চাস। কিন্তু তারা সহায়তা না করে আমাদের সেনাবাহিনীকে খবর দিতে বলেন। তাই বিচার চাইতে থানায় এসেছি।
সিফাতের দাবি, তারা বেল্ট দিয়ে টেবিলে জোরে জোরে আঘাত করেছেন। ভাঙচুর করেননি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি বড় কিছু না। কিছু ফুলের টব ভেঙেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসকেডি