বন্যা দুর্গত বিশ লাখ শিশু-কিশোরের পাশে সেভ দ্য চিলড্রেন 

বন্যা দুর্গত বিশ লাখ শিশু-কিশোরের পাশে সেভ দ্য চিলড্রেন 

টানা ভারী বর্ষণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় বাংলাদেশের প্রায় ১১টি জেলা প্লাবিত ও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় ২০ লাখ শিশু কিশোর ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

সেভ দ্য চিলড্রেন-বাংলাদেশ স্থানীয় সহযোগী সংগঠনের সহযোগিতায় ইতোমধ্যে ফেনী এবং মৌলভীবাজারে বন্যা কবলিত মানুষদের মাঝে জরুরি সমীক্ষা করে তার ভিত্তিতে খাবারসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান শুরু করেছে। এই কাজে আন্তর্জাতিক এই সংস্থার চারটি দল দুর্গত এলাকায় কাজ করছে। সেই সাথে অতিবৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামের যে সব এলাকা ভূমিধ্বসের ঝুঁকিতে রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে আগাম সতর্কবার্তা প্রচার করছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেভ দ্য চিলড্রেন-বাংলাদেশ জানিয়েছে, দাতা সংস্থা ও দেশীয় উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রাথমিকভাবে প্রায় আড়াই হাজার পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন, নগদ অর্থ, পরিচ্ছন্ন থাকার সামগ্রী, রান্না করার সামগ্রী, জরুরি শিক্ষা উপকরণ বিতরণ শুরু করেছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তর এবং ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামতেরও কাজ করছে। এই সহায়তা কার্যক্রমের দ্বিতীয় পর্যায়ে এই দুই জেলার পাশাপাশি লক্ষ্মীপুরকে অন্তর্ভুক্ত করে মোট ১,৫০,০০০ মানুষকে সহায়তা প্রদানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর সুমন সেনগুপ্ত জানান, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ, গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দুর্যোগে সবচেয়ে বেশী ঝুঁকিতে থাকে শিশুরা। এবারের বন্যায় প্রায় ২০ লক্ষের বেশি শিশু কিশোর ক্ষতির সম্মুখীন। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেখেছি, বাংলাদেশ তীব্র তাপপ্রবাহ সহ ঘন ঘন অন্যান্য মারাত্মক সব দুর্যোগে কবলিত হচ্ছে। এই দুর্যোগগুলো শিশুদের উপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শিশুদের জীবন হুমকিতে পড়ছে, এবং বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে তারা সংক্রমিত হচ্ছে। দুর্যোগ যেহেতু পারিবারিক জীবিকাকে বাধাগ্রস্ত করে, তাই শিশুরা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টিকর খাবার ও শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই মুহূর্তে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অনেক শিশু আটকা পড়েছে, প্রয়োজনীয় সহায়তা থেকে তারা অনেক দূরে অবস্থান করছে। তাই তাদের জীবন রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *