ফেনীর পরশুরামে বিএনপির সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন দেলোয়ার হোসেন (৪৪) নামে এক বিএনপি কর্মী। এ সময় বন্যার পনির স্রোতে ভেসে যান তিনি। পাঁচ দিন পর রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেলে স্থানীয় লোকজন নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন। রাতে আশ্রাফপুর-মধুগ্রাম বড় কবরস্থানে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
ফেনীর পরশুরামে বিএনপির সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন দেলোয়ার হোসেন (৪৪) নামে এক বিএনপি কর্মী। এ সময় বন্যার পনির স্রোতে ভেসে যান তিনি। পাঁচ দিন পর রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেলে স্থানীয় লোকজন নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন। রাতে আশ্রাফপুর-মধুগ্রাম বড় কবরস্থানে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
নিহত দেলোয়ার হোসেন মির্জানগর ইউনিয়নের মধুগ্রামের মৃত আলী আহমদের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ আগস্ট দুপুরের দিকে সুবার বাজার থেকে পরশুরামে বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নিতে রওয়ানা করেন দলীয় নেতাকর্মীরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন দেলোয়ারও। এ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ফেনীর সন্তান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু। পানির মধ্যে হেঁটে মির্জানগর ইউনিয়নের তুলাতলি এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব দিক থেকে আসা মুহুরী নদীর পানির স্রোতে ভেসে যান দেলোয়ার। তারপর পাঁচ দিন ধরে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তার সন্ধান মেলেনি। রোববার বিকেলের দিকে কুন্ডেরপাড় সিলোনিয়া নদীতে স্থানীয় লোকজন একটি মরদেহ দেখতে পান। পরে সেখানে গিয়ে দেলোয়ারের মরদেহ শনাক্ত করেন স্বজনরা।
আফজল হোসেন নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সেদিন পানির মধ্যে পরশুরামে কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে দেলোয়ার পানির স্রোতে ভেসে যান। তখন আমরা কয়েকজন তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেও পানির তোড়ে ধরে রাখতে পারিনি।
এদিকে সন্তানকে হারিয়ে শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন দেলোয়ারের মা পিরোজা আক্তার। স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে চারপাশ।
নিহতের ভাই রাসেল রানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনেকভাবে খুঁজেও ভাইকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শেষপর্যন্ত পাঁচ দিন পরে মরদেহ পেয়েছি। আমাদের পরিবারে অনেককিছু ওনাকে ঘিরে ছিল। ভাই মানসিক অসুস্থতার মধ্যেও বিএনপির প্রতি অনেকটা আবেগ ছিল। সেদিন ওষুধ না খেয়ে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে পানির স্রোতে ভেসে গেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পরশুরাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল হালিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, তার মৃত্যুতে আমরা ব্যথিত হয়েছি। বন্যা পরিস্থিতিতে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে ব্যস্ত থাকায় আমরা এখনো তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু দেলোয়ারের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন।
তারেক চৌধুরী/এএমকে