বন্যার্তদের মধ্যে লোকপ্রশাসন বিভাগের উপহার সামগ্রী বিতরণ

বন্যার্তদের মধ্যে লোকপ্রশাসন বিভাগের উপহার সামগ্রী বিতরণ

সম্প্রতি দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ শতাধিক পরিবারের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ। এ নিয়ে দেড় হাজারের বেশি পরিবারের পাশে দাঁড়াল বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

সম্প্রতি দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ শতাধিক পরিবারের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ। এ নিয়ে দেড় হাজারের বেশি পরিবারের পাশে দাঁড়াল বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার ৭নং বশিকপুর এবং ৫নং পার্বতীনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এ উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

উপহার সামগ্রীর মধ্যে পাঁচ দিনের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য, ওষুধ, পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট অন্যতম।

এর আগে গত ২৯ ও ৩০ আগস্ট মৌলভীবাজারের দুর্গত এলাকায় সহস্রাধিক পরিবারের মধ্যে উপহার সামগ্রী হিসেবে খাদ্যদ্রব্য ও মেডিসিন বিতরণ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

তার আগে বিভাগের শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গা থেকে বন্যার্তদের সহায়তায় নগদ অর্থ ও ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ করা হয়। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা বক্স হাতে নিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে সরাসরি অর্থ সংগ্রহ করেন। এতে বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীরাও আর্থিক ও অন্যান্য সহযোগিতা প্রদান করেন।

ত্রাণ কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মাদ ঈসা ইবনে বেলাল বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা সবসময়ই দাঁড়ানোর চেষ্টা করে এসেছে।

লোক প্রশাসন বিভাগের ত্রাণ কার্যক্রমের সার্বিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক ড. মুসলেহ উদ্দীন আহমেদ তারেক। তিনি বলেন, দেশের যে কোনো সংকটময় পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এবার মৌলভীবাজারে এক হাজার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি লক্ষ্মীপুরেও প্রায় পাঁচশ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

তিনি বলেন, লোক প্রশাসন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী দিনরাত পরিশ্রম করে ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রমকে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করেছে।

কেএইচ/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *