বন্যায় ফেনী-নোয়াখালীর ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

বন্যায় ফেনী-নোয়াখালীর ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

টানা ভারী বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে বাংলাদেশের ১১টি জেলা প্লাবিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেনী ও নোয়াখালী জেলার মানুষ। এই দুই জেলার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রায় ডুবে গেছে সব বাড়ি-ঘর ও ধ্বংস হয়েছে ৪৮ শতাংশ বাড়ি-ঘর। এছাড়াও এই দুই জেলার স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও সুপেয় পানির সুবিধা শতভাগ অচল হয়ে পড়েছে।

টানা ভারী বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে বাংলাদেশের ১১টি জেলা প্লাবিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেনী ও নোয়াখালী জেলার মানুষ। এই দুই জেলার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রায় ডুবে গেছে সব বাড়ি-ঘর ও ধ্বংস হয়েছে ৪৮ শতাংশ বাড়ি-ঘর। এছাড়াও এই দুই জেলার স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও সুপেয় পানির সুবিধা শতভাগ অচল হয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) চলমান বন্যায় নিয়ে অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের প্রকাশিত জরুরি চাহিদা নিরূপণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে এসেছে।

প্রতিবেদন বলছে, বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করায়, বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর ক্ষতচিহ্ন ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। দুর্গতদের মধ্যে জীবিকা হারানো এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই দুই জেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ৭২ শতাংশ প্রতিদিন দুইবেলা খেতে পারছে, যা পর্যাপ্ত নয়। স্যানিটেশন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় খোলা জায়গায় মলত্যাগ বাড়ছে, যা ডায়রিয়া ও কলেরার মতো পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এসব রোগে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন।

অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশিষ দামলে বাংলাদেশের বন্যা সম্পর্কে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে এমন পরিস্থিতি বাংলাদেশে আগে দেখা যায়নি। বন্যায় লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি ডুবে গেছে। জীবিকা হারিয়েছে লাখ লাখ মানুষ। গবাদিপশুর ক্ষয়ক্ষতি, দুর্গত জনগোষ্ঠীদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

গত ২০ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এই বন্যায় ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ ১১ জেলার বিশাল অংশ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৫ লাখেরও বেশি মানুষ এবং প্রায় ৫৮ লাখ মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অবকাঠামো, বাড়িঘর, কৃষি ও মৎস্যখাত। এসব ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে দুর্গত জনগোষ্ঠীদের জরুরি ও ধারাবাহিক মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। বিশেষ করে দুর্গত জনগোষ্ঠীদের জন্য জরুরিভাবে বিশুদ্ধ খাবার পানি, নগদ অর্থ সহায়তা, খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর প্রয়োজন। মধ্যমেয়াদে ঘরবাড়ি মেরামত, পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার এবং খাদ্য উৎপাদনে কৃষি উপকরণ সরবরাহ এবং দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও টেকসই সমাধানে ওয়াশ সুবিধা (পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা) নিশ্চিত করা, কমিউনিটি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ এবং আয়মূলক কার্যক্রম প্রচার করা জরুরি।

এমএইচএন/পিএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *