বন্যাপ্লাবিত ১১ জেলায় ১১৯৩ টাওয়ার অচল, সবচেয়ে বেশি ফেনীতে

বন্যাপ্লাবিত ১১ জেলায় ১১৯৩ টাওয়ার অচল, সবচেয়ে বেশি ফেনীতে

ভারত থেকে নেমে আসা ঢল আর টানা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত অবস্থা দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১৫টির অধিক জেলার। হঠাৎ করেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কারণে বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি কোনো ক্ষেত্রেই। তেমনি টেলিযোগাযোগ খাতেও পড়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। বন্যার পানিতে মোবাইল অপারেটর কোম্পানির টাওয়ারের গ্রিনফিল্ড ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ডুবে যাওয়ার এখনও ১১টি জেলায় ১ হাজার ১৯৩টি টাওয়ার অচল হয়ে আছে। আর সবচেয়ে বেশি টাওয়ার অচল হয়ে আছে ফেনী জেলায়। যার পরিমাণ ৫৩৪টি।

ভারত থেকে নেমে আসা ঢল আর টানা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত অবস্থা দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১৫টির অধিক জেলার। হঠাৎ করেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কারণে বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি কোনো ক্ষেত্রেই। তেমনি টেলিযোগাযোগ খাতেও পড়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। বন্যার পানিতে মোবাইল অপারেটর কোম্পানির টাওয়ারের গ্রিনফিল্ড ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ডুবে যাওয়ার এখনও ১১টি জেলায় ১ হাজার ১৯৩টি টাওয়ার অচল হয়ে আছে। আর সবচেয়ে বেশি টাওয়ার অচল হয়ে আছে ফেনী জেলায়। যার পরিমাণ ৫৩৪টি।

সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর অস্থায়ী পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত হালনাগাদ করা তথ্য অনুযায়ী, টেলিযোগাযোগ ব্যাহত হওয়া ১১টি জেলা হচ্ছে — নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট ও কক্সবাজার।

এরমধ্যে নোয়াখালী জেলায় ৩৩৭টি, লক্ষ্মীপুর জেলায় ৬২টি, ফেনী জেলায় ৫৩৪টি, কুমিল্লা জেলায় ১৪১টি, ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলায় ৭টি, চট্টগ্রাম জেলায় ৪৬টি, খাগড়াছড়ি জেলায় ৪১টি, হবিগঞ্জ জেলায় ৫টি, মৌলভীবাজার জেলায় ৯টি, সিলেট জেলায় ৬টি ও কক্সবাজার জেলায় ৫টি মোট ১ হাজর ১০৩টি টাওয়ার অচল হয়ে আছে। এর বিপরীতে এই ১১টি জেলার মোট টাওয়ার রয়েছে ১৪ হাজার ৫৫১টি। যারমধ্যে এখন সচল রয়েছে ১৩ হাজার ৩৫৮টি।

টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ঠিক করতে নেওয়া হয়েছে যেসব পদক্ষেপ

অপরদিকে দ্রুত টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক জটিলতা নিরসনে সকল টাওয়ার সচল করতে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব পদক্ষেপ সম্পর্কে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান জানান, মোবাইল অপারেটর এবং টাওয়ারকো অপারেটরদের টেকনিক্যাল লোকবল, নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম, জেনারেটর ও জ্বালানি ইত্যাদি পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় নেওয়া হচ্ছে।

এরইমধ্যে ফুলগাজী উপজেলায় মোবাইল অপারেটর রবি এবং টাওয়ারকো অপারেটর সামিট ও ইডটকো, সোনাগাজী উপজেলায় মোবাইল অপারেটর গ্রামীনফোন ও রবি এবং টাওয়ারকো অপারেটর সামিট ও ইডটকো, ছাগলনাইয়া উপজেলায় মোবাইল অপারেটর গ্রামীনফোন এবং টাওয়ারকো অপারেটর সামিট ও ইডটকো এর সাথেসমন্বয় করে নেটওয়ার্ক পুনঃস্থাপন কার্যক্রম দ্রুত করার জন্য ৬টি স্পিডবোট সরবরাহ করা হয়েছে।

এছাড়া ফুলগাজী এবং ছাগলনাইয়া উপজেলায় মোবাইল অপারেটর বাংলালিংককে ভেহিকেল সরবরাহের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বিটিআরসি মহাপরিচালক।

আরএইচটি/পিএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *