নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বন্যাকবলিত এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করতে গিয়ে ২ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে পৃথকস্থানে এসব ঘটনা ঘটে।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বন্যাকবলিত এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করতে গিয়ে ২ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে পৃথকস্থানে এসব ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার মান্দারী ইউনিয়নের সমামুর গ্রামের মো. হারুনুর রশীদের ছেলে মো. ইব্রাহিম ও চট্রগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়া থানার হাশিমপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন।
জানা গেছে, মো. ইব্রাহিম বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্লাহপুর ইউনিয়নের আমিনবাজার জোনাল অফিসে এবং মো. জাকির হোসেন নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চৌরাস্তা অফিসে কর্মরত ছিলেন। সোমবার বিকেলে বন্যাকবলিত এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাদের মৃত্যু হয়।
নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমরা কেউই স্বাভাবিক নেই। এমন ঘটনা আমাদেরকে মর্মাহত ও অশ্রুসিক্ত করেছে। দুইজন সহকর্মীর মৃত্যুতে আমাদের সবার মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জাকির হোসেন আরও বলেন, আমাদের নোয়াখালীর মানুষ বন্যা পরিস্থিতি এভাবে উপলব্ধি করেনি। এ সময় বিদ্যুৎ সংযোগ দিলে গ্রাহকের ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু মানুষজন অফিসে এসে অমানবিক আচরণ করে। তারা বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করতে চাপ দেয়। আমিতো জানি লাইন সচল হলে প্রাণহানি ঘটতে পারে। এই বিপর্যয় দ্রুত কেটে যাক। আল্লাহ যেন আমাদের সবার ওপর সহায় হয়।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হাসান খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইব্রাহিম ও জাকিরসহ বন্যায় নোয়াখালী জেলায় মোট সাতজন নিহত হয়েছে। তারমধ্যে চারজন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান। আর তিনজন বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছেন।
এমএ