বন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবিতে আল্টিমেটাম

বন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবিতে আল্টিমেটাম

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও চাকরিচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি তোলেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। এ সময় সাজা শেষ হলেও আইনি জটিলতায় ১৬ বছর ধরে কারাগারে থাকা সদস্যদের ৩০ দিনের মধ্যে মুক্তির আল্টিমেটাম দেন তারা।

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও চাকরিচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি তোলেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। এ সময় সাজা শেষ হলেও আইনি জটিলতায় ১৬ বছর ধরে কারাগারে থাকা সদস্যদের ৩০ দিনের মধ্যে মুক্তির আল্টিমেটাম দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চাকরিচ্যুত হাবিলদার মোশারেফ হোসেন। তিনি বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরদের সঙ্গে কৌশলে পারতো না। বাংলাদেশের মতো একটি ছোট্ট দেশের বর্ডার গার্ডদের পরাস্ত করতে না পেরে ক্ষোভে ২০০৯ সালে পিলখানায় হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। বিডিআরকে পঙ্গু করতে মেধাবী অফিসারদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে উলটো দায় চাপিয়ে নিরপরাধ ১৮ হাজার ৫২০ জন বিডিআরকে কারাদণ্ডসহ চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এরপর থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চাকরিচ্যুত নিরপরাধ বিডিআর সদস্যরা মানবেতর জীবনযাপন করেছেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। সঠিক তদন্ত হলে আমিসহ অনেকেই নির্দোষ প্রমাণিত হবো। আমি দাবি জানাই, যাদের চাকরির বয়সসীমা রয়েছে, তাদের চাকরিতে ফিরিয়ে নেওয়া হোক। আর যাদের বয়সসীমা শেষ হয়েছে তাদের পেনশনসহ শতভাগ সুবিধা প্রদান করা হোক।

এ সময়ে তারা বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। এরমধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ না বলে ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড অভিহিত করা। এ ঘটনায় গঠিত প্রহসনের বিশেষ আদালত নির্বাহী আদেশে বাতিল করা। চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালসহ সব সুবিধা প্রদান। হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদ্ধার ও কুশীলবদের শনাক্তে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন। শাহাদাত বরণকারী ৫৭ মেধাবী সেনা কর্মকর্তাসহ নিহত ৭৪ জনকে শহিদি মর্যাদা প্রদান। ২৫ ফেব্রুয়ারিকে পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস ঘোষণা। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা-পরবর্তী তদন্ত বা জিজ্ঞাসাবাদের নামে নিরাপত্তা হেফাজতে হত্যা করা বিডিআর সদস্যদের তালিকা প্রকাশ ও তাদের পরিবারকে সহায়তা প্রদান। জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত করে বিচার। বিশেষ আদালতের দেওয়া সাজা শেষেও অনেক বিডিআর সদস্যরা বিস্ফোরক মামলায় ১৬ বছর ধরে কারাবন্দি রয়েছে, তাদের মুক্তি প্রদান।

দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর প্রদান করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চাকরিচ্যুত হাবিদার শহিদুল ইসলাম, মো. ইউনুস, আবদুর রহিম, সিপাহি মনিরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *