অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের আশ্বাসে বঙ্গভবনের সামনে থেকে সরে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীদের একাংশ। রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ইনকিলাব মঞ্চ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের আশ্বাসে বঙ্গভবনের সামনে থেকে সরে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীদের একাংশ। রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ইনকিলাব মঞ্চ।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে এ তথ্য জানান ইনকিলাব মঞ্চের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে সরকারকে আমরা যে আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম এর জবাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারক পর্যায় থেকে ইনকিলাব মঞ্চের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিনজন উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের ফোনে কথা হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা অনুযায়ী তারা আমাদেরকে বলেছেন, আগামীকাল বিকেল পাঁচটায় এই তিন উপদেষ্টা ইনকিলাব মঞ্চের ৫ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
মুখপাত্র শরিফ ওসমান বলেন, আগামীকালের বৈঠকে রাষ্ট্রপতিকে পদ থেকে অপসারণ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আলোচনা হবে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমাদের এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম সরকার যেভাবে রেসপন্স করল সেজন্য সরকারকে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমরা আমাদের আন্দোলন স্থগিত করব না। আন্দোলনের বিজয় মিছিল হবে। আমরা আগামীকাল বিকেল পাঁচটায় উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাব। আগামীকাল বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আমরা অনলাইন অফলাইনে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত নেব কি করব। তখন ছাত্র-জনতা বঙ্গভবনে প্রবেশ করবে। সরকার যেহেতু আমাদের দাবিতে সাড়া দিয়েছে তাই আমরা এখন ক্যাম্পাসে ফিরে যাব এবং নিজেদের মধ্যে মিটিং করব।
তবে ইনকিলাব মঞ্চ আপাতত উপদেষ্টাদের আশ্বাসে রাষ্ট্রপতির বাসভবনের সামনে থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও আরো বেশ কয়েকটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বলছেন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
এদিকে সন্ধ্যার পর থেকে রাষ্ট্রপতির বাসভবনের সামনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা আরো বাড়ানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বঙ্গভবনে প্রবেশের রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন।
এমএসি/জেডএস