১. হলুদ দুধ
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কোনো ধরনের লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াই গোপনে ঘটে থাকে। স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব পড়তে শুরু করলে তখন সমস্যা খুঁজে পাওয়া যায়। এ ধরনের সমস্যা প্রতিরোধ করার জন্য প্রতিকার গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু ঘরোয়া প্রতিকার চর্বি জমা কমাতে এবং ডিটক্সিফিকেশন বাড়িয়ে লিভারের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে ঘরোয়া প্রতিকার-
১. হলুদ দুধ
হলুদে রয়েছে কারকিউমিন। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগ যা লিভার ডিটক্সিফিকেশনে সহায়তা করে। ঘুমানোর আগে এক কাপ উষ্ণ হলুদ দুধ পান করলে লিভারের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে এবং চর্বি জমা কমাতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং পিত্তর উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে।
২. আমলকি
আমলকিতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে প্রচুর পরিমাণে, যা লিভারকে সারিয়ে তোলা এবং চর্বি বিপাককে সহজতর করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১-২টি তাজা আমলকি বা এক চা চামচ আমলকি পাউডার পানিতে মিশিয়ে খেলে লিভারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় এবং চর্বি জমা কমাতে পারে।
৩. আদা চা
আদার প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং চর্বি হজমে সহায়তা করে। সকালে বা খাবারের পরে এক কাপ আদা চা পান করলে চর্বি বিপাক বৃদ্ধি পায় এবং লিভারের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। আদা পিত্ত উত্পাদনকেও উদ্দীপিত করে, হজমের উন্নতি করে।
৪. রসুন
রসুন সালফার যৌগ সমৃদ্ধ যা হেপাটিক এনজাইম সক্রিয় করে। এটি ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া এবং চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুনের ১-২টি কাঁচা কোয়া রাখলে তা হেপাটিক চর্বি জমে থাকা কমাতে এবং লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে।
৫. মেথি
মেথি রক্তের গ্লুকোজ এবং লিপিডের ঘনত্ব উভয়ই কমাতে উপকারী। ১ চা চামচ মেথি সারারাত ভিজিয়ে রাখার এবং পরের দিন সকালে খালি পেটে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এই অভ্যাসটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের ঘনত্ব কমিয়ে হেপাটিক চর্বি জমা কমাতে সাহায্য করে।
এইচএন